গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছোট-বড় গরু মোটাতাজাকরণ খামারগুলোতে কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গরু লালন পালন করা হচ্ছে। খামার মালিক ছয়-সাত মাস পূর্বে এসব ষাঁড় গরু বাজার থেকে ক্রয় করে এনে খড়-ভুষিসহ দেশীয় খাবার দিয়ে পরিপুষ্ট করছেন।
জানা যায়, কালিয়াকৈর ছোট-বড় ১ হাজার ৫শ গরু মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে। এসব খামারে ১০ হাজার ষাঁড় গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। ছোট বড় এ খামারগুলোতে মালিকরা কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে বছরে একবার ষাঁড় গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকে।
খামার মালিক গোপাল চন্দ্র বর্মন ও হারিজউজ্জামান হারিজসহ সচেতন মহল জানান, খড় ভুষিসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে এসব গরুকে পরিপুষ্ট করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে না। বড় খামারগুলোতে কোরবানির ঈদ ছাড়াও সারা বছর ধরে এসব গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রয় করা হচ্ছে।
খামার মালিকেরা গতবার ঈদের চেয়েও এবার বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন। অনেকেই এই খামার গড়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা লাভ করেছেন। উৎপাদিত গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বাইরেও বিক্রি করতে পারবেন বলে দাবি খামারিদের।
তবে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। সংশ্লিষ্টদের কাছে ঈদে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসা বন্ধের ব্যবস্থা করে দেশীয় খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষার দাবি সচেতন মহলের।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান জানান, খড় ভুষিসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে এসব গরুকে পরিপুষ্ট করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে না। বড় খামারগুলোতে কুরবানির ঈদ ছাড়াও সারা বছর ধরে এসব গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রয় করা হচ্ছে। আশা করি এবার খামারিরা বেশি লাভবান হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।