নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক পরিবারের তিন বোনকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেওেছ স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী ওই পরিবার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এর আগে ব্যাপারে (৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগীদের বাবা স্টিফেন গমেজ কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক।
অভিযোগ ওঠা ওই নেতার নাম আরমান হোসেন আকন্দ (৫০)। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার সহযোগীরা হলেন- একই ওয়ার্ডের কাজল (৩২), মামুন (৩৬), আল আমিন (৩৫), ইয়ামিন (৩২), আলম (৩২), জাকব গ্রেগরী (৬২)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবারিক জমি নিয়ে স্টেফেন গমেজের সঙ্গে ছোট ভাই জন গমেজ ও তার স্ত্রী শেলী গমেজের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে জন গমেজের জমির আম-মোক্তারনামা দলিল সূত্রে মালিকানা দাবি করেন আরমান হোসেন আকন্দ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে স্টিফেন গমেজের বাড়িতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলার সময় সেখানে হাজির হন আরমান ও তার সহযোগীরা। এসময় বাড়িতে স্টিফেন গমেজের তিন মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
এই সুযোগে তাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন আরমান ও তার সহযোগীরা। বন্ধ করা নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্টিফেন গমেজের কলেজ পড়ুয়া তিন মেয়েকে তারা অকথ্যভাষায় গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে জন গমেজ অভিযোগ করে জানান, সপ্তাহ খানেক আগে আওয়ামী লীগ নেতা আরমানের লোকজনকে ৮ শতাংশ জমির আম-মোক্তারনামা দলিল সূত্রে মালিকানা দেয়া হয়।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আরমান হোসেন আকন্দ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি যাইনি। তবে আম-মোক্তারনামা দলিল সূত্রে কাজল ৪ শতাংশ জমির মালিকানা পেয়েছে। সে কারণেই কাজলসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তাদের শাসন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।