নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বেগম রাবেয়া আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ-উ-দৌলার অপসারণ ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে মানববন্ধন শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদের কাছে আলাদা আলাদাভাবে দুটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধানকে সৎ এবং চরিত্রবান হওয়া আবশ্যক। এতে করে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই প্রভাব ফেলে। একইভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি অসৎ এবং চরিত্রহীন হয় তাতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রভাব ফেলে। বেগম রাবেয়া আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে এটি নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন রকম যৌন হয়রানি মূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত।
তারা আরো বলেন, সিরাজুল ইসলাম অপকর্ম হাসিলের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেন। সর্বশেষ তিনি স্থানীয় সনাতন ধর্মের এক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক সহজ করার জন্য সম্প্রতি ওই নারীর স্বামীকে বিদ্যালয়ে গেস্ট টিচার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে গেস্ট টিচারের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে সিরাজুল ইসলাম যায়। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ওই নারীর সাথে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ইতিপূর্বেও প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় তার অপসারণ ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করলেও ক্ষমতার দাপটে তিনি পার পেয়ে গেছেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।