নিজেস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জে মো. মোফাজ্জল মিয়া (৪৮) নামের এক ইজারাদারের ইজারা আইন বহির্ভতভাবে কেড়ে নিতে ওই ইজারাদারের উপর স্বশস্ত্র হামলা করেছে সস্ত্রাসীরা। এতে ইজাদারসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা ঢাকার জাতীয় অর্থপেটিক (পঙ্গু) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপার থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে ওই ইজারাদারের বড় ভাই মো. মাসুদ মিয়া সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এছাড়াও একই দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক।
মামলার বাদী মাসুদ মিয়া জানান, গত ৪ বছর যাবৎ নিয়মানুযায়ী উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চল এলাকার বড়কাউ বাজারের ইজারা নেয় তার ছোট ভাই মোফাজ্জল। যা এই বৈশাখে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দেশের বর্তমান এই অবস্থায় পূনরায় ইজারা না হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন ইজারা হওয়ার শর্তে প্রশাসনিকভাবে মৌখিক নির্দেশে পূর্বের ইজারাদারই বহাল থাকে। সেই নির্দেশে মোফাজ্জল বাজারের ইজারা কার্যক্রম করে আসছিল। গত ১৫ এপ্রিল বুধবার সকালে বাজারে ইজারাদারের নির্দেশে ওই গ্রামে ফারুক খাজনা আদায় করতে গেলে সদ্য প্রয়াত নাগরী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে অর্নবের নেতৃত্বে বড়কাউ গ্রামের কবির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, কামাল হোসেন, হাফিজুল, হায়দার, টিপু মিয়া, জাকির হোসেন, শাওন, আলামিন, রাকিব, সুশান্ত, আতিকুর, ও শিমুল বাধা দেয় এবং তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। খাজনা আদায় করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলাও হুমকি দেয়। পরদিন ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ইজারা বাধা প্রদানকারীরা দেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোফাজ্জল ও ফারুকের উপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং তাদের সাথে থাকা স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তখন সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তারা ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাসী আরো জানান, বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বড়কাউ গ্রামের ফারুকের জমি থেকে একই গ্রামের হায়দারের নেতৃত্বে কয়েকটি কলার ছরি কেটে নিয়ে যায়। এতে ফারুকের ভাই রোমান ও লিটন বাধা দিলে তাদের মারধর করে এবং নির্বিচারে বেশকিছু কলাগাছ কেটে ফেলে।
এ ঘটনা মুঠোফোনে অর্নবের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তাছাড়া মারামারি হয়েছে কিনা তাও আমি জানিনা। আপনারা ঘটনাস্থলে এসে জেনে নিন বলে মুঠো ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
নাগরী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকতা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর যাবৎ মো. মোফাজ্জল মিয়া ইজারা নিয়ে ওই বাজারে খাজনা আদায় করে আসছে। চলতি বৈশাখে মেয়াদ শেষ হলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নতুন ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ইজারা না হওয়া পর্যন্ত তাকেই বহাল থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।