নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা এম. এ সাদ্দাম হোসেন রুবেল পালোয়ান। ইতিমধ্যে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এবং তা যাচাই বাছায়ের পর তা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাবার সন্তান রুবেল পালোয়ান নিজেও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি থেকে এমবিএ করা। শিক্ষিত এই রুচিশীল তরুণ শিল্পের পাশাপাশি নিজেকে স্থানীয় রাজনীতিতেও রাখছেন সমান ভূমিকা।
জানা গেছে, তফসীল অনুযায়ী আগামী মে মাসে প্রথম ধাপে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন উপলক্ষে ছয়জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। পিছিয়ে নেই তরুণ শিল্পপতি রুবেল পালেয়ানও। তিনি ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। নিজ উদ্যোগে উপজেলার অসহায় মানুষদের সহায়তা করছেন। আশপাশের মানুষদের বিপদে সহযোগিতা করছেন। এ ছাড়া তিনি ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি রয়েছে অনেক আলোচনায়। সেখানে তিনি ভোটারদের কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থণা করছেন। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত প্রার্থীদের মধ্যে স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনায় রয়েছেন তরুণ এ শিল্প উদ্যোক্তা।
রুবেল পালোয়ান জানান, তিনি ঢাকা গ্রুপ, টাটকা বাংলা এগ্রো ইন্ডাট্রিজ লিঃ, ঢাকা বেষ্টফুড লিঃ, ঢাকা অ্যাসেট ডেভলেপমেন্ট লিঃ ও ঢাকা উইন টু উইন এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জমজম এগ্রো ফুডসের প্রোপাইটরে দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
এ ব্যপারে তিনি বলেন, একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। একজন তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে আমি দীর্ঘদিন থেকে এ উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে আছি। আমি যেহেতু উপজেলায় অবস্থান করি, তাই আমার জানা আছে সাধারণ মানুষের জন্য কিভাবে কাজ করতে হয়। তাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সাধারণ মানুষ আমাকে নির্বাচিত করবে এটাই আমার বিশ্বাস। নির্বাচিত হতে পারলে কালীগঞ্জকে একটি স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত করার ব্যপারে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে যারা কালীগঞ্জ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাদের সাথে নিজেকে কখনো তুলনা করবো না। কারণ আমার এখান থেকে চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মানবসেবায় ভ্রত হয়ে স্থানীয় মানুষের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। নির্বাচন ছাড়াও আমি স্থানীয় মানুষের যে কোন বিপদ-আপদে সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছি। তবে নির্বাচন হচ্ছে একটি প্লাটফর্ম। আর এই প্লাটফর্মে থেকে একসাথে আরো অনেক মানুষের সেবা করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।