নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১৩ জুন থেকে ওই এলাকায় লকডাউন শুরু হয়। গত ১৩ দিন থেকে ১০ দিনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২২ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তবে এ জন্য ৩৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আখন্দ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ১৩তম দিনের মতো চলছে লকডাউন। রেড জোনের ঘোষণার লক্ষ্যই ছিল করোনায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। কিন্তু সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ‘রেড জোন’ ঘোষণার আগে ওই এলাকায় শেষ ১৪ দিনে ১৮ জন করোনা সনাক্ত হয়। কিন্তু রেড জোন ঘোষণার পর গত ১৩ দিনের মধ্যে ১০ দিনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২২ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। ২২ জনের মধ্যে ৪ নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৫ নং ওয়ার্ডে ১০ জন এবং ৬ নং ওয়ার্ডে ৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তবে এ জন্য ৩৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়েছে।
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মো. শিবলী সাদিক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষনা করা হয়। আর তা বাস্তবায়ন করতে গত ১২ জুন মধ্যরাত থেকে শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম| কিন্তু ১৪ দিনের করোনা রোগী শনাক্তের জন্য যথার্থ সময় না। এ জন্য আরো ৭দিন বাড়ানো হবে। ২১ দিন পর পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ পৌর এলাকার অন্য কোন ওয়ার্ড রেড জোনের আওতায় আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ ধরণের কোন সিদ্ধান্ত নেই।তবে সামনে পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত সর্বমোট ২০৭৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা থেকে ২৫৭ জন নারী-পুরুষের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে আক্রান্তদের থেকে ইতোমধ্যে ১৬৪ জন করোনাজয় করে ঘরে ফিরেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ উপজেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।