নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: রাজধানী ঢাকার লাগোয়া গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার সংরক্ষিত বনভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে সেক্টর ২৪ ও ২৫ এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ। তার সঙ্গে অভিযানে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি। যৌথভাবে এই অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাচলের এই ১৪৪ একর সংরক্ষিত বনভূমিকে ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির গেজেটের মাধ্যমে ‘বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই বনাঞ্চলে রয়েছে বিপুলসংখ্যক শালগাছ ও কপিচসহ নানা প্রজাতির গাছগাছালি। পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থেই এই এলাকা সংরক্ষিত বলে চিহ্নিত।
তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে ৪৪ জন ব্যক্তি অবৈধভাবে ১৫৫টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন। এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে সরকার একাধিকবার নোটিশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা, বনভূমি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। দেশে বর্তমানে মোট ভূখণ্ডের ১৫.৫৮ শতাংশ বনভূমি রয়েছে এবং বৃক্ষাচ্ছাদন ২২.৩ শতাংশ। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে এ হার ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনায়ন, সামাজিক বনায়ন, ভিলেজ ফরেস্ট ও উপকূলীয় বন সৃজনসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে এই এলাকায় বনভূমির সুরক্ষায় কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।