রাষ্ট্র হিসেবে ভারত রাজনৈতিক ও আর্থিক দিক থেকে যতটা স্ট্রাগল করেছে মুদ্রাব্যবস্থায় সেটি ফুটে উঠেছে। ভারতের রাজনৈতিক ও আর্থিক অবস্থার বর্তমান চিত্র ফুটে উঠেছে তাদের মুদ্রায়। এটির কালার থেকে শুরু করে ভর, সাইজ, পাবলিশ সবকিছুই ভারত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
১৯২৬ সালে ১ রুপির নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৪০ সালে ১ রুপির কয়েন পাবলিশ করা শুর হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর মুদ্রায় সার্বভৌম ভারতের প্রতীক বিভিন্ন স্টাইলে চেঞ্জ করা হয়েছে।
ভারতের মুদ্রায় ষষ্ঠ জর্জের রিপ্রেজেন্টেশন ছিলো। পরবর্তী সময়ে রাজার ছবি বাদ দিয়ে গান্ধীর ছবি ব্যবহার করা হয়। ব্রিটিশ প্রশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ভারত এর মুদ্রাব্যবস্থা ও ডিজাইন ট্রানসিশন পিরিয়দের মধ্য দিয়ে গেছে।
১৯৫০ সালে ভারতের ১ রুপির মুদ্রায় শস্যের ছবি যোগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ফুড সেক্টরে ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রমাণ মিলে। পাশাপাশি এটি ভারতের স্বনির্ভরতাও প্রকাশ করে।
১৯৫৩ সালে ভারতের মুদ্রায় হিন্দি ভাষার ব্যবহার শুর হয়। ১৯৬৪ সালের ১ জুন ’নয়া পয়সা’ চালু করা হয়। ১৯৬০ এর পর ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়। ১৯৬২ সালে ভারত এবং চায়নার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে ভারতের মুদ্রার মান নিচে নেমে যেতে থাকে।
ভারতের এক রুপির নোট দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি সস্তা ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং ভর পরবর্তী সময় কমিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ১৯৮০ সালে নতুন নোট সবার সামনে উন্মোচন করা হয়। এ সময় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং ভারতীয় শিল্পের বিকাশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
২০১৫ সাল থেকে এক রুপির নোট পুনরায় ছাপানো শুরু হয়। ডিজাইনও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। মুদ্রার নতুন প্যাটার্ন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে ভারতের এক রুপির মুদ্রাকে সার্বভৌমত্বের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।