নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা থাকছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট।
নতুন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এই প্রয়াসে বৈধ আয়ে যেখানে ২০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব রেখেছেন। সেখানে আপনার আয় যদি অবৈধ হয় তাহলে ১৫ শতাংশ কর দিলেই তা বৈধ বলে গণ্য হবে। ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও পাচ্ছে এই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ।
বৃহস্পতিবার দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা আবশ্যক। অর্থনীতিতে কার্যকর চাহিদা সৃষ্টি এবং তা বজায় রাখার নিমিত্ত পর্যাপ্ত সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য একদিকে আমাদের অধিক পরিমাণ রাজস্ব যোগান দিতে হবে এবং অন্যদিকে বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে হবে। প্রসঞ্গত, Data Verification System (DVS) চালু হবার ফলে বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ প্রদর্শনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, রিটার্ন দাখিলে করদাতার অজ্ঞতাসহ অনিবার্য কিছু কারণে অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নে এই টি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি আয়কর আইনে কর প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ সংযোজনের প্রস্তাব করছি। প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন, ফ্লাট, আ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহারে এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫% কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উথাপন করতে পারবে না।’
অন্যদিকে বৈধ আয়ের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি (স্পিকার) অবগত আছেন যে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী, প্রবীণ নাগরিক, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য এবং গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি। এতে করে স্থাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হয়েছেন। আমি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা ও ফার্মের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। একই সাথে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা ও ফার্মের করধাপ সমন্বয়পূর্বক বিদ্যমান সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।