জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং আগামীকাল প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে সারাদেশে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে আসবেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন এবং সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন, কারণ প্রতিটি ঘর বিদ্যুতে আলোকিত হয়েছে।’
গত ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশে এমন একটি অতি-আধুনিক বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ‘আমাদের সবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি পাওয়ার প্ল্যান্ট।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করেছি, দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং সারা বিশ্বে ১১তম দেশ হিসেবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।
পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়, এটি ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে এ এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকা- বেগবান হয়েছে।
এলাকায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কার্যক্রম চলামান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে এবং জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে কেন্দ্র করে সরকারের একটি বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে।
কমিশনার বলেন, ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও আরও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে এবং এখানে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি আরো বলেন ‘এই অঞ্চলটি আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে একটি পাওয়ার হাবে পরিণত হবে’।
বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এএম খুরশেদুল আলম বলেন, কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিবেশ রক্ষা করে নির্মাণ করা হয়েছে অতি-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
বিসিপিসিএল কর্মকর্তা বলেন, দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোদমে চালু হলে বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।–বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।