জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কাশবনে ঘুরতে যাওয়া এক তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জুনায়েদ (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার জুনায়েদ দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার আবদুল আউয়ালের ছেলে। তবে যৌন নিপীড়নে মূল অভিযুক্ত রহিমকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তার বাড়ি জেলা শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, তরুণীকে যৌন নিপীড়নে মূল অভিযুক্ত রহিমের বন্ধু জুনায়েদ। যৌন নিপীড়নের সময় জুনায়েদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ ঘটনায় জড়িত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবার নাম বলেছেন। শাকিল নামে তাদের আরেক বন্ধু যৌন নিপীড়নের ভিডিও ধারণ করেন।
তিনি আরো জানান, ওই তরুণীকে যৌন নিপীড়ন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। ওই মামলায় জুনায়েদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র পেজে এক তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ভিডিও পোস্ট করা হয়। এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের পুনিয়াউট এলাকায় কাশবনে ঘুরতে যাওয়া এক তরুণীকে যৌন নিপীড়ন করছেন রহিমসহ কয়েকজন যুবক। ওই তরুণী তাদের পায়ে ধরে বড় ভাই ডেকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বললেও তাদের মন গলেনি। উল্টো তারা তরুণীর পরনের বোরকা খোলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তরুণীর মুখে চুমু দেন রহিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।