লাইফস্টাইল ডেস্ক: কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে। অনেকের আবার একটানা কাশি লেগেই আছে। এটি যেমন কষ্টদায়ক তেমনই অস্বস্তিকর। কাশি থেকে মুক্তি পেতে নানা ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়া যায়। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে কাশির সমস্যা কমানো সম্ভব। খাবারগুলো আমাদের পরিচিত এবং প্রায় সব বাড়িতেই থাকে। তাই আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ কাশির সমস্যায় ভুগলে এই ৭ খাবারের সাহায্য নিতে পারেন-
মধু খাবেন যে কারণে
আমাদের শরীরের জন্য উপকারী একটি উপাদান হলো মধু। এতে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ। প্রাচীনকাল থেকে এই মধু ব্যবহার করা হয় ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও কাজ করে। এছাড়া এটি কাশি দূর করার পাশাপাশি এবং কাশির কারণে সৃষ্ট গলা ব্যথার সমস্যা দূর করতেও কাজ করে।
আদার উপকারিতা
আদার অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি হলো, এটি কাশি সারাতে কার্যকরী। আদা প্রাকৃতিক প্রদাহবিরোধী ওষুধের মতো কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও ক্যান্সারবিরোধীও। গরম পানি, চা কিংবা স্যুপের সঙ্গে কাঁচা আদা খেলে তা কাশি দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি সাহায্য করে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতেও।
রসুন দূর করবে কাশি
রসুনকে ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করার প্রচলন অনেক পুরোনো। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট্য শরীরের নানা উপকার করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত রসুন খেলে তা সর্দি এবং কাশি হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তাই কাশি হলে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি দ্রুত সুস্থ করতে কাজ করে।
চিকেন স্যুপ খেলে উপকার পাবেন
চিকেন স্যুপ এমনিতেই সুস্বাদু। এটি কিন্তু কাশির সমস্যার ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী। এই খাবার সহজে হজম হয় এবং এতে থাকে প্রয়োজনীয় সব খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যালোরি। তাই শরীরকে পর্যাপ্ত অনুপাতে পুষ্টি দিতে কাশি হলে চিকেন স্যুপ খান। এটি শরীরে তরল সরবরাহ করে জ্বর ও কাশি থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে।
কাশি সারাতে কলা খান
অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা হলো, কলা খেলে ঠান্ডার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আসলে কিন্তু তা নয়। কলা খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দ্রুত দূর হয়। এতে থাকা ফাইবার বাড়ায় হজমশক্তি। সেইসঙ্গে কলার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ক্যালোরি শরীরকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। তাই কাশি হলে নিয়মিত কলা খেতে পারেন। এতে দ্রুতই মুক্ত পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।