আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
কাশ্মীর বিশ্বের অন্যতম বিপদজনক একটি সীমান্ত। অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে প্রায়শই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেনাসদস্য ছাড়াও দুই দেশের সেনাদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে অঞ্চলটির মানুষ হতাহতের খবরও পাওয়া যায়।
দুই দেশের সামরিক বাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পারস্পরিক এই সংঘাতে শান্তি ব্যাহত হয়, বাড়ে সহিংসতা।’
সামরিক বাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তে পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও টেকসই শান্তি অর্জনের স্বার্থে দুই দেশের মিলিটারি অপারেশন্স প্রধান বড় ইস্যুর সমাধান ও উদ্বেগ প্রশমনে একমত হয়েছে। পারস্পরিক এই সংঘাতে শান্তি ব্যাহত হয়, বাড়ে সহিংসতা।’
কাশ্মীরে সীমান্ত বিভাজনকারী রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ২০০৩ সালেও একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল এশিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই প্রতিবেশী। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয়পক্ষ সেই চুক্তি বারবার লঙ্ঘন করেছে।
নয়াদিল্লির এক সরকারি কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিশেষ করে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসরত মানুষের কথা ভেবেই এমন অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তাতে প্রায়শই সাধারণ মানুষ বন্দুকযুদ্ধের কবলে পড়েন। সহিংসতার মাত্রা ও সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের ব্যাপারে ভারত সতর্কভাবে আশাবাদী।
নিজের নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছার কথা জানিয়ে ভারতের ওই সরকারি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অস্ত্রবিরতি চুক্তি হওয়ায় লাইন অব কন্ট্রোলে সহিংসতার মাত্রা ও সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের ব্যাপারে আমরা সতর্কভাবে আশাবাদী।’
ভারতের ওই সরকারি কর্মকর্তা এও বলেছেন, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখার পাশ দিয়ে মোতায়েন সেনার পরিমাণ কমিয়ে আনবে না। কাশ্মীর উপত্যকায় অনুপ্রবেশ বা পাল্টা জঙ্গিবাদ অভিযান বন্ধের লক্ষ্যেই এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও গত গ্রীষ্মে কমপক্ষে বিগত দুই বছরের মধ্যে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনারা তাদের সর্বাধিক ঘন ঘন আন্তসীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল। এতে অনেক মানুষ হতাহত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলছে। কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্টে মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ধারা রদ করে হিমালয় উপত্যকাটিকে দিখণ্ডিত করার পর থেকে এই উত্তেজনায় নতুন মাত্রা পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।