আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহামারি ক রো না কিছুটা কমে যাওয়ায় বেসরকারি সংস্থাগুলি তাদের কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ জারি করছে। এক দল কর্মী অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে শুনে বেশ উৎসাহিত। অপর দিকে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মধ্যে অফিস যাওয়া নিয়ে বেশ অনীহা দেখা দিয়েছে। তাঁদের ধারণা, অফিসে গেলে তাঁদের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। শুধু তা-ই নয়, নিয়মিত অফিস যাতায়াতের জন্য তাঁদের অনেকটা সময় অযথা নষ্ট হবে।
অ্যাপলের মেশিন লার্নিং ডিরেক্টর, ইয়ান গুডফেলোও এমনটা মনে করেন। অফিসে ফিরে যেতে হবে শুনে অ্যাপলের প্রায় এক মিলিয়ান ডলারের চাকরি ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। ইয়ান জানিয়েছেন, এত বড় একটি সংস্থা থেকে কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত অ্যাপলের হাইব্রিড কাজের নীতির জন্যেই।
ইস্তফা দেওয়ার সময়ে গুডফেলো অ্যাপল সংস্থাকে ইমেলে জানিয়েছেন, ‘সুষ্ঠ ভাবে কাজ করার জন্য তার আরও বেশি স্বাধীন পরিবেশের প্রয়োজন’।
তিনি অ্যাপলে ঠিক কত টাকা মাইনে পেতেন, তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, অ্যাপলের আগে তিনি যেই বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন সেখানে তাঁর মাইনে ছিল বার্ষিক ৮,০০,০০০ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা)। সুতরাং, ধরে নেওয়া যায় অ্যাপলে তাঁর মাইনে এর থেকে বেশিই ছিল। কেবলমাত্র বাড়ি থেকে কাজ করতে চাওয়ার প্রবল ইচ্ছের বশে ৬ কোটির চাকরি ছেড়ে দিলেন ইয়ান!
কাজের সুবিধার জন্য অ্যাপল সংস্থা গত মাসে সকল কর্মচারীদের জন্য একটি নোটিস জারি করে। সেই নোটিসে জানানো হয়, ২৩ মে থেকে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিস গিয়ে কাজ করতে হবে সংস্থার সব কর্মচারীকেই। তবে অ্যাপলের নতুন কর্মনীতি ঘিরে কর্মচারীদের মধ্যে বেশ অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। অ্যাপল কর্মীরা অফিসে ফিরে আসার খারাপ দিকগুলি উল্লেখ করে অ্যাপলের সিইও টিম কুকের কাছে একটি চিঠিও জমা দিয়েছেন।
যে কারণে চার সন্তানের বাবা হওয়া সত্বেও ‘বাবা’ ডাক থেকে বঞ্চিত মিঠুন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।