লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি। এটি বিকল হলে মৃত্যু নিশ্চিত। কিডনি রোগ নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। ৬০ বা ৭০ শতাংশ অকেজো হওয়ার পর কিডনি সমস্যার লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে। চিন্তার বিষয়, কিডনি রোগীর সংখ্যা এখন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কিডনি নিয়ে একটু সচেতনতা দরকার। এই প্রতিবেদনে রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল। পরের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে প্রতিরোধ নিয়ে।
কিডনি রোগের আট লক্ষণ:
১. প্রস্রাবে পরিবর্তন ও রক্তক্ষরণ: কিডনি রোগের এটি সবথেকে বড় লক্ষণ। যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের প্রস্রাবে পরিবর্তন হয়। এই সময় প্রস্রাব বেশি অথবা কম হয়। প্রস্রাবের সময় ব্যাথা হয়। বিশেষত রাতে এই সমস্যা বাড়ে। প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না। প্রস্রাবের সময় রক্ত পড়লে বুঝবেন সমস্যা গুরুতর। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. দেহ ফুলে যাওয়া: কিডনির কাজ হল শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত জল বের করে দেওয়া। কিডনিতে সমস্যা হলে অতিরিক্ত জল বেরোতে পারে না। ফলে শরীরে ফোলাভাব তৈরি করে। বিশেষ করে পায়ের পাতা ও গোঁড়ালি ফুলে যায়।
৩. মনোযোগ কমে যাওয়া: লোহিত রক্তকণিকার কাজ হল মস্তিস্কে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া। কিডনি সমস্যা হলে মস্তিস্কে অক্সিজেন পরিবহণ কমে যায়। কারণ রক্তে লোহিত রক্তকণিকা কমে যায়। এতে মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে।
৪. শীত শীত বোধ: গরম আবহাওয়ার মধ্যেও শীত শীত অনুভব হয়।
৫. ত্বকে র্যাশ: শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বাড়তে থাকায় রক্তে এগুলি জমা হতে থাকে। এটি ত্বকে চুলকানি এবং র্যাশ তৈরি করতে পারে
৬. বমি বমি ভাব: এই সময় বমি বমি ভাব বেড়ে যায়। বমি হওয়ার সমস্যা হতে পারে। কারণ রক্তে বর্জ্য পদার্থ বেড়ে যায়।
৭. পিঠের নিচে ব্যাথা: মানবদেহে কোমরের নিচে থাকে দুটি কিডনি। এই সময় পিঠের নিচে ব্যাথা বেড়ে যায়। তবে সবার এই লক্ষণ দেখা যায় না।
৮. চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া: এই সময় প্রস্রাবের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বের হয়ে যায়। ফলে চোখের চারপাশে ফুলে যায়। চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।