কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর ক্লোন করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে মোবাইল নম্বরটি ক্লোন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিবার সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার রাধারানী ড্রিগী কলেজের অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকি এবং কিশোরগঞ্জ বিজনেস মেনেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন ফোন করে আমাকে বলেন, স্যার আপনার সরকারি নম্বর থেকে ফোন করে আমাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ রাধারানী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকী জুমবাংলাকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি নম্বর থেকে রবিবার সকাল ৯টার সময় আমাকে ফোন করে বলা হয়, ‘আপনার কলেজে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। সেজন্য আপনি খুব তাড়াতাড়ি আমার নম্বরে ৮ হাজার টাকা বিকাশ করেন।’ মোবাইলে কথা বলার সময় আমার সন্দেহ হলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার কল করে বিষয়টি জানালে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন।
কিশোরগঞ্জ বিজনেস মেনেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএমআই) কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন জুমবাংলাকে বলেন, আমি বাসা থেকে কলেজে আসার সময় সকাল ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি মোবাইল নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে চাওয়া হয় এবং আমাকে একটি বিকাশ নম্বর ০১৮৮৩১১৪৫৬৬ দিয়ে বলেন, ‘এই নম্বরে টাকা দেন আর প্রয়োজন হলে আমার ব্যক্তিগত ০১৭০৫৮১৮২৫৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ জুমবাংলাকে বলেন, আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান স্যারকে অবগত করেছি এবং কিশোরগঞ্জ থানার ওসিকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এবং মোবাইলে মেসেজ দিয়ে সবাইকে অবগত করেছি।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ জুমবাংলাকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি নম্বরটি ক্লোন করে চাঁদা দাবির বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.