
জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের কচুয়ায় অপহরণের দেড়মাসেও সন্তানের খোঁজ পায়নি হতদরিদ্র বাবা-মা। ১৬ মার্চ রাতে কচুয়া উপজেলার ফুলতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে অপহৃত হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৫)। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ১৭ মার্চ কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুঁজে দেখা হবে বলে জানান কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান।
ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ১৬ মার্চ রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে কচুয়া উপজেলার ফুলতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে যায় ওই কিশোরী। ওয়াজের প্যান্ডেল থেকে বাদাম কিনতে বাইরে বের হলে তাকে মুখ চেপে ধরে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।
পুলিশের দ্রুত অ্যাকশন না নেয়ার ঘটনায় রহস্যজনক ভূমিকায় হতবাক এলাকাবাসী। এদিকে থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কিশোরী মেয়ের খোঁজ পাচ্ছেন না বাবা-মা। এত কিছুর পরেও সন্তানকে ফিরে না পেয়ে আহাজারি থামছে না তাদের।
কিশোরীর বাবা বলেন, রাস্তায় থাকা অনেকে দেখেছে মুখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায় আমার মেয়েকে। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। স্থানীয় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিককেও বিষয়টি জানিয়েছি। জামাই চাও না মেয়ে চাও বলে আমার সাথে ঠাট্টা করেন চেয়ারম্যান। যেকোন মূল্যে আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন হতদরিদ্র এই কৃষক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই তারা যেন মেয়েটিকে খুঁজে তার বাবা-মায়ের কাছে দেয়।
কিশোরীর মা বলেন, আমার চার মেয়ে। সে সব থেকে ছোট ও আদরের। তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ওকে নিয়েই এখন আমাদের সব আশা ভরসা। লম্পটরা রাতের আধারে ওয়াজের মাঠ থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই। এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জোর তৎপরতা চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



