জুমবাংলা ডেস্ক : বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের এক কিশোরী পাশের কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশে একটি ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে উঠেছিল। কিন্তু মোটরসাইকেলটির চালক তাকে চকরিয়ায় না নিয়ে পার্শ্ববর্তী নিতাবানিয়া এলাকার রাবার বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে বাগানের এক নারী শ্রমিক এগিয়ে গেলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত চালক। পরে চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিক ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে। হোটেল ম্যানেজারসহ অভিযুক্ত তিনজনই গ্রেফতার হয়েছেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে।
লামা উপজেলায় গত সোমবার সকালের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া মোটরসাইকেলচালকের নাম মো. আলা উদ্দিন (৩৫)। তিনি উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর ঘিলাতলী পাড়ার বাসিন্দা আবু ছালের ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী সোমবার রাতে স্বজনদের সঙ্গে লামা থানায় গিয়ে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
কুয়াকাটায় ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে। পরের দিন সোমবার রাতে বরগুনার তালতলী উপজেলার ভুক্তভোগী তরুণী (২২) প্রেমিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি মামলা করেন। রাতেই পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন তরুণীর ‘প্রেমিক’ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মো. রনি প্যাদা, রনির সহযোগী দশমিনারই মাইনুল ইসলাম এবং আবাসিক হোটেল সিলভার ক্রাউনের ম্যানেজার মো. শহিদুল। গতকাল আসামিদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
নির্যাতিত তরুণী মামলায় উল্লেখ করেন, তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ১০-১৫ দিন আগে রনি প্যাদার পরিচয় হয়। পরে ফোনে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত রবিবার সন্ধ্যায় তরুণীকে বিয়ে করাসহ বিভিন্ন কথা বলে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে যান রনি। রাতে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে তাঁরা হোটেল সিলভার ক্রাউনের ২০৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন। রাতেই হোটেলে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন রনি ও মাইনুল। এতে সহযোগিতা করেন শহিদুল। তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে গত ২৬ ডিসেম্বরের ঘটনায় সোমবার রাতে গ্রেফতার রেজোয়ান হোসেন (২৮) উপজেলার রাধানাথপুর গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ভুক্তভোগী (১২) শিশুটির মা রেজোয়ানের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন।
পুলিশ গতকাল শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন লালমনিরহাট আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।