সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তার পরনের ছালোয়ার নিয়ে যায় এবং জামা ছিঁড়ে ফেলে স্থানীয় পাঁচ যুবক। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও চারজন পলঅতক রয়েছে। গ্রেফতার বিল্লাল হোসেনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশ তার সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সুনামগঞ্জ জেলা জজ আদালতের দোয়ারাবাজারের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা এ আদেশ দেন।
এর আগে সংঘবদ্ধ মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা কিশোরীর মা। মামলায় বিল্লাল হোসেনসহ আসামি করা হয়েছে গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে হোসাইন আহমদ (২০), সুরুজ আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২৩), মোজাম্মিল আলীর ছেলে আছকির আলী (২৫) ও তেরাপুর গ্রামের ইসমাইল মিস্ত্রির ছেলে আইয়ুব আলীকে (২০)। শেষের চারজনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নের ১৬ বছরের ওই কিশোরী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের ৫ বখাটে যুবক পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তার পরনের ছালোয়ার নিয়ে যায় এবং জামা ছিঁড়ে ফেলে তারা। এ ঘটনায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই যুবকরা গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের স্বজনরা কিশোরীর অভিভাবকদের মামলা করতে বাধা দেয় এবং আপোষে মিমাংসা করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকে। মঙ্গলবার মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি আপোষে মিমাংসা করার জন্য একাধিক বৈঠক হওয়ায় গ্রামবাসী এবং পুলিশ ঘটনা জানতে পারে। পরে থানার ওসি মো. নাজির আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর সেলিম নেওয়াজ জানান, আদালত ধর্ষণের শিকার কিশোরীর জবানবন্দি নিয়েছেন। গ্রেফতার বিল্লালকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার রিমান্ড শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।