Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home কিয়ামতের ১০টি বড় আলামত
ইসলাম ধর্ম

কিয়ামতের ১০টি বড় আলামত

Zoombangla News DeskJanuary 27, 2020Updated:January 27, 20208 Mins Read
Advertisement

কিয়ামত শব্দটি অপরিচিত কোন শব্দ নয়। আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া সৃষ্টির পর এর সময়কাল বেধে দিয়েছেন। দুনিয়াতে কখন কী ঘটবে তা আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসূলগণ দ্বারা জানিয়েছেন। কিয়ামত হলো এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা প্রত্যেক নবী-রাসূল তার উম্মতদের জানিয়েছেন। কখন হবে, কীভাবে সংঘটিত হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং কিয়ামত সম্পর্কিত কয়েকটি সূরা নাযিল করেছেন। যেমন- সূরা ক্বিয়ামাহ, সূরা যিলযাল। আল্লাহ তায়ালা এসব সূরার মাধ্যমে কিয়ামত সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। যার ওপর বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য জরুরী। অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস ঈমানের ছয়টি মৌলিক বিষয়ের অন্যতম। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ”আর যারা অদৃশ্যের বিষয়াবলীতে পূর্ণ বিশ্বাস রেখে নামায কায়েম করবে…”[১]। অদৃশ্যের প্রতি ঈমান বলতে বুঝায় আল্লাহ পাক ও তাঁর নবী-রাসূল কর্তৃক যত বিষয় বর্ণিত হয়েছে তার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস করা, পূর্ণ সত্যায়ন করা।

বাংলা ভাষায় সেরা ইসলামিক অ্যাপ
Android: https://bit.ly/2PUIRHv

iOs: https://apple.co/2vKzFMT

অ্যাপটি-শেয়ার-করে-সবাইকে-পড়ার-সুযোগ-করে-দিন।

কিয়ামতের আলামত
কিয়ামত বলতে বুঝায় মহাপ্রলয়। যেসময় পৃথিবীর সমাপ্তি ঘটবে এবং সমস্ত সৃষ্ট-জীব মহান আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তুত হবে। আরবি ব্যাকরণে কিয়ামতকে বলা হয় ‘الساعة ’ যার অর্থ মুহূর্ত। অর্থাৎ মুহূর্তের মধ্যে কিয়ামত সংঘটিত হবে। চোখের পলকে সকল কিছুর বিনাশ ঘটবে। পাহাড়-পর্বতসমূহ সবকিছু তুলোর মত ফানা ফানা হয়ে উড়তে থাকবে। একটি বিভেষিকাময় মুহূর্ত সৃষ্টি হবে। গর্ভধারিণী মা তার গর্ভের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করে ফেলবে ভয়ের কারণে। আসমান-জমিনের মধ্যে যাকিছু আছে সবকিছু উলট-পালট হয়ে যাবে।

হযরত হুযায়ফা রাঃ বলেন: আমরা পরস্পর আলাপ রত অবস্থায় ছিলাম, নবী করীম সাঃ এসে জিজ্ঞাসা করলেন- তোমরা কী প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলে? সবাই বলল- কিয়ামত প্রসঙ্গে। তখন নবী করীম সাঃ এরশাদ করলেন- ”কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না তোমরা দশটি (বড়) নিদর্শন প্রত্যক্ষ করবেঃ[২]

ধোঁয়া (ধূম্র)
দাজ্জাল
অদ্ভুত প্রাণী
পশ্চিম দিগন্তে প্রভাতের সূর্যোদয়
মরিয়ম আঃ এর সন্তান ঈসা আঃ এর পৃথিবীতে প্রত্যাগমন
ইয়াজুজ-মাজুজের উদ্ভব
তিনটি ভূমিধ্বস
প্রাচ্যে ভূমি ধ্বস
পাশ্চাত্যে ভূমিধ্বস
আরব উপদ্বীপে ভূমিধ্বস
পরিশেষে ইয়েমেন থেকে উত্থিত হাশরের ময়দানে দিকে তাড়নাকারী বিশাল অগ্নি।
অন্য এক বর্ণনায় ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ, কাবা শরীফ ধ্বংস এবং মানুষের অন্তর থেকে কুরআনুল কারীম উঠিয়ে নেয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে।

দাজ্জালের ফেতনা
উপরের সবগুলো নিদর্শন বড় নিদর্শন যা এখনোও সংঘটিত হয়নি। এর মধ্যে দাজ্জালের ফেতনা সবচেয়ে ভয়ানক। নবী করীম সাঃ বলেন-”আদম আঃ সৃষ্টির পর থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত দাজ্জালের ফেতনা অপেক্ষা বৃহৎ ও সুবিস্তৃত ফেতনা দ্বিতীয়টি হবে না।” এমন কোন নবী নাই যে তার উম্মতকে দাজ্জাল ফেতনা সম্পর্কে সতর্ক করে নাই।

আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাঃ দাজ্জাল সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা নবী করীম সাঃ মানুষের মাঝে ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। প্রথমে আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করলেন। অতঃপর দাজ্জালের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন- “ আমার পূর্বে যত নবী পৃথিবীতে এসেছেন, সবাই এ সম্পর্কে সতর্ক করে গেছেন, আমিও তোমাদের সতর্ক করছি। তবে দাজ্জাল সম্পর্কে তোমাদের এমন তথ্য দিচ্ছি, যা ইতিপূর্বে কোন নবী দেননি। মনে রেখো! দাজ্জাল কানা হবে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কানা নন।” [৩]

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী দাজ্জালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সে কানা হবে। অর্থাৎ সে এক চোখ দিয়ে দেখবে এবং অন্য চোখ কানা হবে। তার কপাল প্রশস্ত হবে। দুচোখের মাঝামাঝিতে ر ك ف (কাফের) লেখা থাকবে। যা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির স্পষ্ট দেখতে পারবে।

দাজ্জাল আসার পূর্বে মুসলমানদের সাথে খ্রিস্টানদের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হবে। এর মধ্যে একটি যুদ্ধ বিশাল আকার ধারণ করবে। আল্লাহ তায়ালা ঐ যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় দান করবেন। মুসলমানরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবেন। তখন দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। নবী করীম সাঃ বলেন- “শীঘ্রই তোমরা আরব উপদ্বীপে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের বিজয়ী দান করবেন। অতঃপর পারস্যের (বর্তমান ইরান) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে বিজয়ী দান করবেন। অতঃপর রোমানদের (বাইযাইন্টাইন বাহিনীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে বিজয়ী দান করবেন। অবশেষে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সেখানেও আল্লাহ তায়ালা তোমাদের বিজয়ী দান করবেন।” [২]

আরেক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেন,- “জেরুজালেমে জনবসতি বৃদ্ধি মানে মদিনার বিনাশ। মদিনার বিনাশ মানে বিশ্বযুদ্ধের সূচনা। বিশ্বযুদ্ধের সূচনা মানে কনস্টান্টিনোপল বিজয়। কনস্টান্টিনোপল বিজয় মানে দাজ্জালের আবির্ভাব।”

দাজ্জালকে আল্লাহ তায়ালা এখনো কোন এক স্থানে গোপন করে রেখেছেন। অচিরেই তাকে মুক্ত করা হবে। সে বের হয়ে চল্লিশ দিন পৃথিবীতে অবস্থান করবে। তার এই চল্লিশ দিনের প্রথম দিন হবে এক বৎসরের ন্যায়, দ্বিতীয় দিন এক মাস, তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের ন্যায় হবে। চল্লিশ দিনে সারাবিশ্ব ভ্রমণ করবে শুধু মক্কা মদিনায় ব্যতীত। মক্কা মদিনার প্রতিটি সড়কে ফেরেশতারা প্রহরী হিসেবে অবস্থান করবে। বাতাসের ন্যায় চলার গতি হবে। মুহূর্তের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাবে। নবী করীম সাঃ বলেন- “মক্কা-মদিনা ব্যতীত পৃথিবীর এমন কোন শহর নেইও যেখানে দাজ্জাল গিয়ে পৌছবে না।” [৪]

দাজ্জালকে আল্লাহ তায়ালা এক অন্যরকম অভূতপূর্ব ক্ষমতা দান করবেন। সে মৃতকে জীবিত করতে পারবে আবার জীবিতকে মৃত করতে পারবে। দাজ্জালের সাথে স্বরচিত জান্নাত-জাহান্নাম থাকবে। সে মানুষদের জান্নাতের আশা দিবে আবার জাহান্নামের ভয়ও সৃষ্টি করবে। কোথাও কোথাও বলা হয়েছে তার সাথে দুটি নদী থাকবে। একটি সাদা পানি এবং অপরটি জ্বলন্ত আগুনের মত। আসলে তার সাদা পানি নদীটিই হবে জাহান্নাম এবং অপরটি জান্নাত। যেমনটা এই হাদিসে বলা হয়েছে, নবী করীম সাঃ বলেন-”আমি ভাল করেই জানি, দাজ্জালের সাথে কি থাকবে। তার সাথে দুটি নদী থাকবে। দেখতে একটিকে সাদা পানি এবং অপরটিকে জ্বলন্ত আগুনের মত মনে হবে।তোমরা যদি দাজ্জালকে পেয়ে যাও, তবে তার আগুনে ঝাপ দিয়ে দিও।”

তার অলৌকিক সব ক্ষমতা ও জাদুময় কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষের ঈমান নিয়ে খেলবে। দুর্বল চিত্তের মুমিনরাও তার অলৌকিক ক্ষমতার কাছে তাদের ঈমানকে বিক্রি করবে। তার অসাধারণ জাদুময় কর্মকাণ্ডের দ্বারা সে কিছুসময়ের মধ্যে অসংখ্য অনুসারী করে ফেলবে। তার অনুসারী সবাই জাহান্নামী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

আল্লাহর রসূল সাঃ দাজ্জালের এই ভয়াবহ ফিতনা থেকে বাঁচার বিভিন্ন উপায় তার উম্মত শিখিয়ে গেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রত্যেক শুক্রবার সূরা কাহাফ এর প্রথম দশ আয়াত নিয়মিত তিলাওয়াত করা। নবী করীম সাঃ বলেন- “ যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে নিল, সে দাজ্জাল থেকে রক্ষা পেয়ে গেল।”[২]

দাজ্জাল ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া পাঠ করা। মহানবী সাঃ নিজে প্রত্যেক নামাজের পর দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করতেন। হাদিস শরিফে তার এই দোয়াটি প্রসিদ্ধ রয়েছে।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব, জাহান্নামের আযাব, জীবন-মরণের ফিতনা এবং মিথ্যুক দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।[৩]

দাজ্জালের ফিতনাটি ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় বলে এর আলোচনাটি একটু দীর্ঘ করা হলো।

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব
মুসলমানরা যখন কাফের-মুশরিকদের অত্যাচার-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে বিধ্বস্ত হয়ে যাবে আল্লাহ তায়ালা তখন মুসলমানদের মুক্তিদাতা স্বরুপ ইমাম মাহদীকে প্রেরণ করবেন। সকল কালো শক্তির বিরুদ্ধে তাকে বিজয়ী দান করবেন। তখন পুরো পৃথিবীতে ইসলামের পতাকা উড়বে। মুসলমানদের জয়গান বেজে উঠবে।

তার বংশ পরম্পরা হাসান বিন আলী রাঃ বংশধর পর্যন্ত পৌছবে। তার আসল নাম হবে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। নবী করীম সাঃ বলেন- “পৃথিবীর জীবন সায়াহ্নে যদি একটি মাত্র অবশিষ্ট থাকে, তবে সেই দিনটিকে আল্লাহ তায়ালা দীর্ঘ করে আমার পরিবারস্থ একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করে ছাড়বেন, তার নাম আমার নাম এবং তার পিতার নাম আমার পিতার নাম সদৃশ হবে।”[৫]

ইমাম মাহদী আঃ দুনিয়ার জমিনে সাত-আট বছর রাজত্ব করবে। তার রাজত্বকালে দুনিয়ার বুকে সকল অন্যায়-অবিচার দূরীভূত হবে, মানুষের মধ্যে পাপাচার লোপ পাবে, সকল সম্পদের সুসম বণ্টন নিশ্চিত হবে, মুসলমানদের হারানো রাজত্ব ফিরে পাবে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো আল্লাহ তায়ালা ইমাম মাহদীকে একরাত্রে নেতৃত্বের যোগ্য বানিয়ে দিবেন। মক্কা মোকাররমায় তার প্রকাশ ঘটবে। মূলত তার সময়ই মাসীহ দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। [৮]

ঈসা আঃ প্রত্যাগমন
আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচানোর জন্য ঈসা বিন মারিয়াম আঃ কে পুনরায় দুনিয়াতে প্রেরণ করবেন। নবী করীম সাঃ বলেন-”ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ নিহিত, অচিরেই মরিয়মের সন্তান (ঈসা আঃ) সৎ নিষ্ঠাবান বিচারক হিসেবে আসমান থেকে অবতরণ করবেন। ক্রোশ ভেঙ্গে দেবেন, শুকর নিশ্চিহ্ন করবেন, জিযয়ার (কর) বিধান রহিত করবেন, কোন কাফের থেকে জিযয়া নেয়া হবে না, সেদিন ধন-সম্পদের প্রাচুর্য ঘটবে। আল্লাহর জন্য একটি সেজদা সেদিন সারা দুনিয়া অপেক্ষা উত্তম হবে।” [৪]

ঈসা আঃ কোন এক ফজর নামাযের সময় দুজন ফেরেশতার ওপর ভর করে দুনিয়া জমিনে অবতরণ করবেন। তখন ফজরের ইকামত হতে থাকবে। এ বিষয়ে ইবনে কাছীর রহিমাহুল্লাহ বলেন- ”প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, তিনি দামেস্কের পূর্ব প্রান্তে সাদা মিনারের কাছাকাছি স্থানে অবতরণ করবেন। তখন নামাযের ইকামত হতে থাকবে, তাকে দেখে ইমাম মাহদী বলবে- হে আল্লাহর নবী! নামাযের ইমামতি করুন। ঈসা নবী বলবেন- না! তুমিই পড়াও! ইকামত তোমার জন্য দেয়া হয়েছে!”

এখানে উল্লেখ যে, ঈসা আঃ ইমাম মাহদীর পিছনে নামায পড়লেও ইমাম মাহদী কখনোও ঈসা আঃ মর্যাদার ওপর হবেন না। ইমাম মাহদীর পিছনে ইকতেদা দ্বারা প্রকাশ পায় তার প্রত্যাগমন নবী হিসেবে নয় বরং মুহাম্মাদ সাঃ এর উম্মত হিসেবে গ্রাহ্য হবে।

তাকে দেখে সকল খ্রিস্টান ইসলামে দীক্ষিত হবেন। যতদূর তার দৃষ্টি যাবে, তত দুর তার নিশ্বাস গিয়ে পৌঁছবে। অর্থাৎ ঈসা আঃ এর দৃষ্টির মাধ্যমেই অর্ধেক শত্রুবাহিনী ধ্বংস হয়ে যাবে। ঈসা আঃ দেখামাত্রই দাজ্জাল পানিতে লবণের ন্যায় গলে যাবে। পলায়নের উদ্দেশ্যে দৌড় দিবে। ঈসা আঃ তার পিছু ধাওয়া করে লুদ এলাকার প্রধান ফটকের কাছে তাকে পেয়ে যাবেন এবং বর্শা দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা করবেন। ঈসা আঃ চল্লিশ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকবেন।[৬]

ইয়াজুজ এবং মাজূজ এর আবির্ভাব
দাজ্জাল মৃত্যুর পর দুটি অদ্ভুত জাতির আবির্ভাব ঘটবে। এরা হচ্ছে ইয়াজূজ ও মাজূজ। তারা মূলত আদমেরই সন্তান। তারা বর্বর, অসভ্য, এবং অনিষ্টকর জাতি ছিল বিধায় তাদেরকে বাদশাহ যুলকারনাইন বিশাল দেয়াল দিয়ে পাহাড়ের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিলেন। তারা প্রাচীর ভেঙ্গে বেরিয়ে আসবে। আল্লাহর আদেশে ঈসা আঃ মুমিনদেরকে নিয়ে তূর পর্বতে আশ্রয় নিবেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ইয়াজূজ এবং মাজূজ জাতি দুটিকে এক প্রকার পোকা দ্বারা ধ্বংস করবেন। এরপর প্রাচ্যে, পাশ্চাত্যে এবং আরবে বেশ শক্তিশালী এবং ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি হবে। হাদিসের এই বৃহত্তম নিদর্শনগুলি এখানে সংক্ষিপ্তাকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এসব নিদর্শনগুলি ধারাবাহিক সংঘটিত হলে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এসব বৃহৎ নিদর্শনগুলির সময়ে আরও বেশ কিছু ক্ষুদ্র নিদর্শন সংঘটিত হবে যা এখানে সংক্ষিপ্ত করার জন্য উল্লেখ করা হয়নি। [৭]

লেখকের আরগুজার
জ্ঞান হলো একমাত্র উত্তরণের মাধ্যম। কুরআন ও হাদিসের প্রকৃত জ্ঞান লাভের দ্বারাই একজন মুমিন এসব ফিতনা থেকে বাঁচতে পারে। তার ঈমানকে দৃঢ় করতে পারে। এজন্য আমাদের উচিৎ যা জানি তা অপর ভাইয়ের নিকট পৌছানো। সীমাহীন জ্ঞানে উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়।

সূত্র:

১. সূরা বাকারা

২. সহিহ মুসলিম: ১

৩. সহিহ বুখারী: ৮৬

৪. বুখারী, মুসলিম

৫. তিরমিযী, আবু দাউদ

৬. মহাপ্রলয়: ডা.মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী

৭. আল লু’লু ওয়াল মারজান: ১৮২৯

৮. কেয়ামতের আলামত: মাওলানা মুহাম্মাদ আশেকে এলাহী বুলন্দশহরী রহ.

দ্বীনি কথা শেয়ার করে আপনিও ইসলাম প্রচারে অংশগ্রহণ করুন।

বাংলা ভাষায় সেরা ইসলামিক অ্যাপ
Android: https://bit.ly/2PUIRHv

iOs: https://apple.co/2vKzFMT

অ্যাপটি-শেয়ার-করে-সবাইকে-পড়ার-সুযোগ-করে-দিন।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
খরচ

যেসব খরচ মানুষের রিজিকে বরকতের দরজা খুলে দেয়

November 22, 2025
জুমার নামাজ

রজব ও জুমার দিনের ফজিলত: কোরআন-হাদিসে বিশেষ গুরুত্ব

November 21, 2025
ভূমিকম্পে দোয়া

ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবী

November 21, 2025
Latest News
খরচ

যেসব খরচ মানুষের রিজিকে বরকতের দরজা খুলে দেয়

জুমার নামাজ

রজব ও জুমার দিনের ফজিলত: কোরআন-হাদিসে বিশেষ গুরুত্ব

ভূমিকম্পে দোয়া

ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবী

ঈমান

ঈমান ও ইসলামের সম্পর্ক

মুমিন

রোগ-ব্যাধি মুমিনের পাপমোচনের মাধ্যম

নামাজ

পরিবার-পরিজন ও অধীনস্থদের নামাজের আদেশ দেওয়ার গুরুত্ব

হজ পালনের সুযোগ

নিবন্ধন শেষ ২০২৬ সালের হজের, ৭৮ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি যাচ্ছেন হজে

দাঁড়িয়ে প্রস্রাব

কোন ব্যক্তির জন্য কি দাঁড়িয়ে পেশাব করা জায়েয?

জুমার দিন

জুমার দিনের ৫ বিশেষ ইবাদত

মানুষ

মানুষের মৃত্যু-পরবর্তী রহস্যময় এক জগৎ

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.