প্লুটো গ্রহ না বামন গ্রহ, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। গ্রহের ধরন নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক না কেন, প্লুটোর বৃহত্তম চাঁদ ‘ক্যারন’ নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্লুটোর বৃহত্তম চাঁদ ক্যারন কয়েক শত কোটি বছর আগে তৈরি হলেও গঠনের প্রক্রিয়া অন্য গ্রহের চাঁদের মতো নয়।
সংঘর্ষের মাধ্যমে ক্যারনের উৎপত্তি হলেও কয়েক শত কোটি বছর আগে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্লুটোর সঙ্গে যুক্ত ছিল ক্যারন। নতুন এই তত্ত্বের মাধ্যমে ক্যারনের গঠন সম্পর্কে জানার নতুন পথ তৈরি হয়েছে। নেচার জিওসায়েন্স সাময়িকীতে ক্যারনের গঠনবিষয়ক এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
প্লুটোর বৃহত্তম চাঁদ ক্যারনের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী এডিন ডেনটন বলেন, প্লুটো ও ক্যারনের মধ্যে বিশেষ ধরনের সম্পর্ক শনাক্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের মহাজাগতিক সংঘর্ষ হয়েছিল সেখানে। কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, প্লুটোর অস্বাভাবিকভাবে বড় আকারের চাঁদ ক্যারন পৃথিবীর চাঁদের আদলে বড় ধরনের সংঘর্ষের পর তৈরি হয়েছে। এমন মডেল পৃথিবী-চাঁদ সিস্টেমের জন্যও বেশ কার্যকর। তীব্র তাপ ও সংঘর্ষের মধ্যে এভাবে চাঁদ তৈরি হতে পারে। তবে আকারে ছোট ও ঠান্ডা হওয়ায় প্লুটো-ক্যারনে এ কৌশল খাটবে না।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বেশির ভাগ গ্রহে আঘাত বা সংঘর্ষের পর বিশাল অংশ দ্রুত সরে যায় বা ধাক্কা লেগে দূরে চলে যায়। তবে প্লুটো ও ক্যারনের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্লুটো ও ক্যারন একসঙ্গে যুক্ত ছিল। তারপর মহাকর্ষীয় বিভিন্ন কারণে ধীরে ধীরে আলাদা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।