ইসলামের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, সিদরাতুল মুনতাহা এমন এক রহস্যময় সৃষ্টি যেখানে সবকিছু থেমে যেতে বাধ্য। দুনিয়ার সমস্ত সৃষ্টি এবং জ্ঞান এখানে এসে থেমে যায়। এখান থেকে আল্লাহর আদেশ গ্রহণ করার জন্য ফেরেশতারা অপেক্ষা করে থাকেন। এটি এমন একটি স্থান যা অতিক্রম করার অধিকার এবং ক্ষমতা কারো নেই।
আল কুরআন অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদ (স) মিরাজের রাত্রে সিদরাতুল মুনতাহাতে এসেছিলেন। তার সাথে জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্তিত ছিলেন। জিব্রাইল প্রিয় নবী (স) কে বলেন যে, আমি আর এক কদম সামনে এগুলে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাব।
আল্লাহর বিধান এখানে নাযিল হয় এবং নির্দিষ্ট ফেরেশতাদের উপর সোপার্দ করা হয়। জমি থেকে আসমানমুখী আমলনামা এ জায়গা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। নিম্ন জগৎ থেকে যা কিছু উপরে পাঠানো হয় তার সবকিছু এখানে এসে থেমে যায়।
আল-কুরআনে কূল বা বড়ই গাছের অর্থ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় সিদরাতুল মুনতাহা শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে। মুনতাহার শব্দের অর্থ হচ্ছে শেষ প্রান্ত বা শেষ ঠিকানা। কাজেই সিদরাতুল মুনতাহা শব্দের অর্থ হতে পারে শেষ প্রান্ত যেখানে কুল বা বড়ই গাছ অবস্থিত।
হাদিস অনুযায়ী, মিরাজের রাত্রে মুনতাহাতে বিভিন্ন রঙের উপস্থিতি দেখতে পান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তবে এসব রং সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। আল্লামা ইবনে কাসির তার বিখ্যাত এক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, জিব্রাইল আলাই ওয়া সাল্লাম নবীজীর এমন এক স্থানে পৌঁছান যেখানে কলমের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
এক পর্যায়ে তারা সিদরাতুল মুনতাহাতে উপস্থিত হন। সেখানে পাতাগুলো ছিল হাতির কানের মত। একাধিক উজ্জ্বল রঙের বিশেষ বস্তুসমূহ কুল গাছকে ঢেকে ফেলে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম তখন ফেরেশতা জিব্রাইলকে তার নিজস্ব অবয়বে দেখতে পান। জিব্রাইল আলাই ওয়া সাল্লাম এর ছিল ৬০০ পাখা। সিদরাতুল মুনতাহাতে কাছে জান্নাতুল মাওয়া অবস্থিত বলে আল কুরআনে উল্লেখ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।