আমরা আজকাল দেখি, পুলিশ মাদক বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কুকুরের সাহায্যে অনুসন্ধান চালায়। কোনো জায়গায় লুকানো মাদকের সন্ধান পেলে কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করে। তখন পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে অনুসন্ধান চালিয়ে অবৈধ মাদক বা অস্ত্র উদ্ধার করে। এখন প্রশ্ন হলো কুকুরের এই প্রশিক্ষণ কীভাবে দেওয়া হয়?
আমরা জানি কুকুরের ঘ্রাণশক্তি খুব বেশি। আবার বিশেষ জাতের কুকুর বেশি দক্ষ। যেমন জার্মান শেফার্ড ও বিগলসজাতীয় কুকুরের ঘ্রাণ গ্রহণ দক্ষতা সবচেয়ে বেশি। এদেরই বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়। প্রশিক্ষণের কৌশলটিও চমত্কার। প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে গোলাকার বলের মতো করে সামনে ছুড়ে দেওয়া হয়। নরম তোয়ালের বলটি কুকুর খেলার উপকরণ হিসেবে নেয়। সে দৌড়ে গিয়ে সেটা মুখে নিয়ে নাড়াচাড়া করে।
এভাবে সে তোয়ালে নিয়ে খেলার প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপর বিশেষ ধরনের মাদকের খুব সামান্য গন্ধ তোয়ালের মধ্যে মিশিয়ে কুকুরকে খেলানো হয়। ধীরে ধীরে কুকুরের খেলার সামগ্রীর সঙ্গে মাদকের গন্ধের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। একসময় কুকুর মনে করে যেখানে ওই গন্ধ, সেখানে তার প্রিয় খেলার সামগ্রী রয়েছে। প্রথম দিকে গন্ধ মেশানো তোয়ালের বল ঝোপঝাড় বা মাটির নিচে গর্তে অথবা কোনো গোপন স্থানে লুকিয়ে রেখে কুকুরকে লেলিয়ে দেয়।
কুকুর গন্ধ শুঁকে শুঁকে বের করে ফেলে কোথায় সেই তোয়ালে আছে। সে তখন তার খেলার সামগ্রী পাওয়ার জন্য ঘেউ ঘেউ শুরু করে বা ইশারায় বুঝিয়ে দেয় যে সে তার খেলার সামগ্রীটি পেতে চায়। এই প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়াটি খুব জটিল। তবে মূল কথা হলো কুকুর গন্ধ শুঁকে কিন্তু মাদক বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে না। সে ভাবে তার খেলার সামগ্রী পেয়েছে। তাই সে তার মনিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।