জুমবাংলা ডেস্ক: আজ ৮ মে, ২০২৩। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন-এর সাফল্যের এক বছর পূর্ণ হলো। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২১ ডিসেম্বর ২০২০ এ ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন করে। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংসদে বিলটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা শেষে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ. কে. এম জাকির হোসেন। প্রথম উপাচার্য হিসেবে ৮ই মে ২০২২ তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মৌলিক কার্যক্রম হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ। আর সেই কাজটিই সফলতার সাথে এগিয়ে নিয়েছেন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক এ. কে. এম জাকির হোসেন। তাঁর দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ ও জমি অধিগ্রহণে সরকারী প্রশাসনিক আদেশ জারি এবং উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে জমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন, বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের এডিপিভুক্ত হয়েছে যা কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুড়িগ্রামবাসীর জন্য আনন্দের। এছাড়া কুড়িগ্রামের মানুষের কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সংগতি রেখে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়ন, অস্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা ও একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য কোর্স কারিকুলাম ও কন্টেন্ট প্রস্তুত, অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস-এর বিভিন্ন স্থাপনাসহ পাঁচ একর জায়গা ব্যবহারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ সেশনে দুইটি অনুষদের আওতায় ৩০ জন করে মোট ৬০ জন-শিক্ষার্থী নিয়ে ফিশারিজ ও এগ্রিকালচারসহ গবেষণাধর্মী শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কোর্স কারিকুলাম ও কন্টেন্ট ইউসিজি এর নিকট জমা করা হয়েছে। যা অনুমোদন হলেই বিশ্বব্যাপী কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিস্তার নিশ্চিতের দ্বার উন্মোচিত হবে। ইতোমধ্যে ২০২৩-২৪ সেশনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির প্রশাসনিক আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নির্মাণ, জনবল নিয়োগ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
অধ্যাপক এ. কে. এম জাকির হোসেন এর সুদক্ষ নেতৃত্বে গত এক বছরে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যে অগ্রযাত্রা সাধিত হয়েছে সমসাময়িক সময়ে আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে খুব স্বল্প সময়ে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নবগঠিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলোর কাছে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। মঙ্গাপীড়িত কুড়িগ্রাম জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সাথে অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন এর মত একজন কর্মবীর, নিষ্ঠাবান গবেষক ও শিক্ষাবিদকে নিয়োগ প্রদান ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কুড়িগ্রাম মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসার অনন্য প্রকাশ।
এ উত্তরবঙ্গেরই সন্তান হিসেবে প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন এর দক্ষ নেতৃত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপুরণে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্য ও গৌরবের সাথে আরও বহুদূর এগিয়ে যাক, উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী এলাকার জমির জন্য গবেষণা ও কন্টাক্ট ফার্মিং-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক এটিই আমাদের প্রত্যশা।
সর্বোপরি, সফলতার সাথে একটি বছর কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিকশিত করার উজ্জ্বল দায়িত্ব পালন করায়, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়কে আমাদের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
জুমবাংলা/আব্দুল মান্নান/কুড়িগ্রাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।