জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনিত ঘটেছে।
বুধবার স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সকাল ৯টায় জানায়, ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও দুধকুমার ও তিস্তার পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলায় ২য় দফা বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ঘটেছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর অববাহিকায় অনেক চর ও দ্বীপচর তলিয়ে গেছে। সেখানাকার চরের বাড়িগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। সদর উপজেলার ধরলা নদী পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মতিন জানান, যে হারে কাল থেকে পানি বাড়ছে তাতে আমাদের নদীর পাড়ের বাড়িঘর যেকোন মুহূর্তে তলিয়ে যাবে। প্রতিবারে বন্যায় বাড়িঘর তলিয়ে গেলে আমরা উচু স্থানে যাই। হয়তো সময় হয়ে গেছে।
এদিকে চলতি ২য় দফা বন্যায় নতুন করে পাট, বাদাম, ভুট্টাসহ নানা শাকসবজি এবং অন্যান্য আবাদী ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। আবারো নিম্নাঞ্চলসমূহের গ্রামীণ কাঁচাসড়ক তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, কযেকদিন আগে আমরা বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ১৩ লাখ টাকা ও ১৪৪ টন চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। প্রয়োজন অনুযায়ী এখনও আমরা বন্যার্তদের সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছি। আশা করি কোন সমস্যা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।