জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের সবকটি নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে বন্যার্তদের দুর্ভোগ এখনও রয়েছে। এ অবস্থায় জেলার নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষগুলো এখনও রয়েছে বিপাকে। উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি।
রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে এখনও সেখানকার মানুষজন। চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। অনেক স্থানে রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। নদীর পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ, পাড়া মৌলা, ছিনাই ইউনিয়নের কিসামত ও কালির পাট এবং সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোবসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান, নদনদীর পানি কমার সাথে সাথে কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে আমরা জিও ও বালুর ব্যাগ ফেলে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। এদিকে, সরককারি ভাবে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হলেও বেসরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তায় কোন সংস্থাকে প্রদান করতে দেখা যায়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় জেলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ১৩ লাখ টাকা, ১৪৪ টন চালসহ ঢেউটিন, শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে যা উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ পর্যায়ে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।