লোনা পানির কুমিরের কিছু ভয়ঙ্কর বিষয় রয়েছে। যেমন লোনা পানির কুমিরের আক্রমণে বছরে প্রায় এক হাজার মানুষ মারা যায়। তবে যে দেশে এ ঘটনা সবথেকে বেশি হয় তা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। গত দশ বছরে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় এক হাজার কুমির আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
এসব আক্রমণের ঘটনায় গত ১০ বছরে মারা গিয়েছে ৪৫০ জন। আরো বহু মানুষ আহত বা অঙ্গহানির শিকার হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ অঞ্চলে এ ঘটনা বেশি ঘটে। সেখানে খনির কাজ করার কারণে বন উজাড় করে ফেলা হয়েছে ও পরিবেশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
এসব ঘটনার কারণে কুমিরের প্রাকৃতিক আবাসের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে কুমির এখন খনির কাছাকাছি অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। আর খনির কাজ যেখানে হয় তার পাশেই মানুষের ঘরবাড়ি অবস্থিত।
এ কারণে মানুষের উপর কুমিরের আক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ সমস্ত অঞ্চলে কুমিরকে শিকার করে মেরে ফেলা হয়। যদিও যারা কুমির সংরক্ষণ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করাই সঠিক কাজ। তাছাড়া অবৈধ পশুর ব্যবসা যারা করে তাদের হাতেও অনেক কুমির মারা যায়।
কুমিরের চামড়া এবং মাংসের জন্য প্রতি বছর এক লক্ষ কুমির হত্যা করা হয়। লোনা পানির কুমির পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকৃতির সরীসৃপ। পুরুষ কুমির ওজনে প্রায় এক হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে এ ধরনের কুমির মিঠা পানিতে বেঁচে থাকতে পারে। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে তারা বেঁচে থাকে। জলহস্তী বা হাঙ্গরের চেয়েও শিকারের উপর অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম কুমির। এ কারণে এ ধরনের কুমিরকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর শিকারি প্রাণীদের একটি হিসেবে গণ্য করা হয়।
কাঁকড়া, মাছ, মহিষ এমনকি মানুষও খেয়ে থাকে কুমির। তবে এরা নিজের থেকে প্রথমে মানুষের উপর আক্রমণ করে না। মানুষ তাদের আবাসস্থলের কাছাকাছি আসলে বা হুমকি মনে করলে তখন আক্রমণ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।