জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনার বিরুদ্ধে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে নগরীর দক্ষিণ চর্থা (তালতলা) এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন।
মামলায় বাহার ও সূচনাসহ এজাহারনামীয় ২২৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক।
এর আগে রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মাছুম মিয়াকে (২২) কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বাহার ও সূচনাসহ ৬২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছিল।
সোমবার রাতে হওয়া মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বিকালে কুমিল্লায় নগরীর দক্ষিণ চর্থা (তালতলা) এলাকা থেকে মামলার বাদীসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র জনতা মিছিল নিয়ে নগরীর কান্দিরপাড় আসছিল।
এ সময় মামলার প্রধান আসামি বাহার ও তার মেয়ে সূচনার নির্দেশে বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে মামলার অন্য আসামিরা হামলা চালায়। এ সময় গুলি চালিয়ে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে অনেককে আহত করা হয়।
মামলায় আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহাম্মেদ নিয়াজ পাভেল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সিটি কাউন্সিলর হাবিবুল আল আমিন সাদী, সরকার মাহমুদ জাবেদ, আবদুস ছাত্তার, সৈয়দ রায়হান আহাম্মদ, আবুল হাসান, কাউছারা বেগম সুমী, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খান, ইউপি চেয়ারম্যান হাসান রাফি রাজু, মোজাম্মেল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ।
ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, সরকার পতনের পর মামলার আসামিদের প্রায় সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন৷ তবে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাহাউদ্দিন বাহার ২০০৮ সাল থেকে টানা চার বার নৌকার মনোনয়নে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অপরদিকে তার বড় মেয়ে সূচনা চলতি বছরের ৯ মার্চ উপনির্বাচনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এর মধ্যে সোমবার সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে তিনি মেয়র পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাবেক বাহারের বাসভবন, মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটপাট চালায়।
বর্তমানে সাবেক এমপি বাহার এবং তার মেয়ে সূচনা দেশেই আছেন, নাকি দেশ ছেড়েছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত কেউ তথ্য দিতে পারেনি। ৫ অগাস্টের পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এজন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।