স্পোর্টস ডেস্ক : টি২০ ক্রিকেটে ১৮২ রানের লক্ষ্যকে বড়োই বলতে হয়। তবে বিপক্ষ দলের টপ অর্ডার যদি একসঙ্গে জ্বলে ওঠে তাহলে এই রানও মামুলিই হয়ে যায়। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স বনাম রংপুর রেঞ্জার্সের ম্যাচে সেরকমটাই হলো। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় রংপুরের ১৮২ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হারিয়ে ২ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার ভানুকা রাজাপাকশে ও সৌম্য সরকার। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬১ রান। ১৫ বলে ৩২ রান করে জয়ের ভিত দাঁড় করিয়ে বিদায় নেন রাজাপাকশে। সৌম্যর সঙ্গে জুটি গড়তে ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান। দুজনই রানের গতি সচল রেখে খেলতে থাকেন। ৩৪ বলে ৪১ রান করে দলীয় ৯০ রান বিদায় নেন সৌম্য। এরপর ৪০ বলে ৪৯ রান করে বিদায় নেন দারুণ খেলতে থাকা সাব্বির রহমান। দল চাপে পড়লেও ডেভিড মালানের বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় কুমিল্লা। ৩টি ছয় আর ২টি চারে ৪২ (২৪) রান করে অপরাজিত থাকেন মালান।
রংপুরের হয়ে বোলিংয়ে মোহাম্মদ নবী ও মুকিদুল ইসলাম বাদে কেউ সুবিধা করতে পারেননি। আল-আমিন, মুস্তাফিজরা ছিলেন অনুজ্জ্বল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ শেহজাদ। স্বদেশি মুজিব উর রহমানের প্রথম তিন বলে মারেন দুই বাউন্ডারি। পরের ওভারে আরও আগ্রাসী শেহজাদ আবু হায়দারের ওভারে মারেন দুটি ছক্কা। খেলার পঞ্চম ওভারে দলীয় স্কোর যখন ৪৯, তখন সাব্বির রহমানের সরাসরি থ্রোতে মোহাম্মদ নাঈম শেখ রান আউট হয়ে ফিরে যান।
সঙ্গীকে হারালেও শেহজাদ ছিলেন নিজের মতোই। আবু হায়দারকে টানা দুই বলে বাউন্ডারিতে ফিফটি স্পর্শ করেন মাত্র ২১ বলে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রংপুর তুলে ৬৮ রান। সানজামুলের বলে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রান করেন শেহজাদ। এরপর সৌম্য সরকার ২৫ বলে ২৫ রান করে ফিরে যান। মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ নবি ও লুইস গ্রেগোরি যথাক্রমে ২০ বলে ২৬ এবং ১২ বলে ২১ রান করে রানের চাকা সচল রাখেন। লোয়ার অর্ডারে নাদিফ চৌধুরির ১১ বলে ১৫ রান আর আরাফাত সানির ১০ বলে ১৫ রান রংপুরকে ১৮১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়। কুমিল্লার হয়ে মুজিব ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।