জুমবাংলা ডেস্ক: কুমিল্লা শহরের কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন স্থাপনার মধ্যে অন্যতম দারোগা বাড়ি মসজিদ। এই মসজিদের সঙ্গে রয়েছে শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) মাজার।
প্রাচীন স্থাপনার মসজিদ ও মাজার দেখতে প্রতি শুক্রবার ও বিশেষ দিবসে মুসল্লিদের ঢল নামে এখানে। বিশেষ করে শবেবরাতের সময় মসজিদ প্রাঙ্গন ও এর আশেপাশের এলাকায় পা ফেলার জায়গা থাকে না।
১২১৪ হিজরিতে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় রিয়াজউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ২০০ বছরের প্রাচীন মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। চারপাশে রয়েছে ১২টি মিনার। দেয়ালের পুরুত্ব ৩ ফুটের বেশি।
সরজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জের পাশে ইউসুফ স্কুল। স্কুলের পাশ ঘেঁষে যাওয়া রাস্তা ধরে এগোলে দারোগা বাড়ি এলাকা। সেখানে রয়েছে মাঝারি আকারের একটি পুকুর। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে মসজিদ ও মাজার। পুকুরের ঘাটলায় রয়েছে অজুর ব্যবস্থা। মসজিদের পাশে রয়েছে মাজার। শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) ভারতের কানপুরের বাসিন্দা। কুমিল্লা হয়ে মিয়ানমার যাওয়ার পথে এখানে বিশ্রাম নিতেন। এক সময় শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) ইসলাম প্রচারের জন্য এখানে থেকে যান। মৃত্যুর পর এখানে তাকে দাফন করা হয়। মসজিদের দানবাক্সে মানুষ প্রতি মাসে লাখ টাকা দান করেন। তা তদারকি করছে জেলা প্রশাসন।
মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াছিন নুরী বলেন, এখানে মাঘ মাসের প্রথম জুমাবার ওরস হয়। এই মসজিদ দেখতে দূর থেকে মানুষ আসেন। ২ হাজার মুসল্লি এখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।