গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভাটার পানিতে ভেসে আসছে সোনা-রূপার স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইল ও নানা রকম ধাতবমুদ্রাসহ দামি জিনিসপত্র। ভাটা যেন সোনার হরিণ হয়ে ধরা দিল কুয়াকাটাবাসির কাছে।
পটুয়াখালীর সমুদ্র সৈকত বালিয়াড়িতে এসব জিনিসপত্র পাচ্ছেন স্থানীয়রা। কিন্তু টুরিস্ট পুলিশের কাছে এ নিয়ে কোনো হারানো সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ না থাকায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না প্রসাশন।
জানা যায়, দিনে দিনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। পর্যটকরা নিজেদের একটু রিফ্রেশ রাখতে চলে যান সৈকতে। অনেকেই সৈকতে গোসল করতে গিয়ে এসব মূল্যবান জিনিস হারিয়ে ফেলেন। জোয়ারের সময় হারিয়ে ফেলা মূল্যবান জিনিসপত্র ভাটার সময় অনেকসময় ফিরে পাওয়া যায়। সেই মূল্যবান জিনিসগুলোই পাচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, সমুদ্র সৈকত বালিয়াড়িতে পর্যটকদের হারিয়ে যাওয়া জিনিসগুলোই ভাটার সময় পড়ে থাকতে দেখে তারা কুঁড়িয়ে নিচ্ছেন। এতে পর্যটকদের কোনো অভিযোগ নেই।
এদিকে একাধিক পর্যটকট বলেন, সমুদ্রে গোসলের সময় সখের জিনিস হারিয়ে গেলেও সেটা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তাই আমরা অভিযোগও করি না বা অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয় না।
ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের কে এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নগদ অর্থ, মূলবান জিনিসপত্র অনেক সময় সৈকত পাড়ে হারিয়ে যায়। সেগুলো স্থানীয়রা পেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং টুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের বালিয়াড়িতে কোনও জিনিস পেলে তা কেউ প্রকাশ করেন না। প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করতে কাউকে দেখিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।