আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেন এরদোয়ান সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা জানান।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, কুর্দি বিদ্রোহীদের বেসামরিক এলাকায় তুর্কি বিমান হামলা শুরু করেছে।
এর আগে গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনা করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তারপর গত রবিবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক অভিযানে মার্কিন বাহিনীর কোনও সমর্থন বা সম্পৃক্ততা থাকবে না। ওই এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টিফেন গ্রিশাম বলেন,‘‘গত দুই বছরে তুর্কি বিদ্রোহীদের হাতে আটক সব আইএস বন্দিদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তুরস্ক নিতে পারবে। এদের মধ্যে অন্তত চার হাজার নাগরিক বিদেশি।’’
সামরিক অভিযানের পর ওই এলাকার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ কুর্দি বিদ্রোহীদের সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। এতদিন ইসলামিক স্টেট বা আইএসকে দমনে কুর্দি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
কুর্দি বিদ্রোহীদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দাবি, কুর্দি বিদ্রোহীরা আসলে তুরস্কের ভেতর সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকে-র অংশ।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তুর্কি বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ হলে তুরস্ককে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কুর্দি বিদ্রোহীদের বেশির ভাগই দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বসবাস করে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সশস্ত্র শাখা ওয়াইপিজি ২০১২ সালে ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব পাড়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই আঙ্কারা অস্বস্তিতে রয়েছে। কারণ ১৯৮৪ সাল থেকে পিকেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। এই কারণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
২০১৮ সালের শুরুতে অপারেশন ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ শিরোনামে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বোমা বর্ষণও করেছিল তুরস্ক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে তারা সেই অভিযান শিথিল করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।