জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে নারীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে তিন শিশুও।
কুলাউড়ার কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টি উলি গ্রামের বাইশালী বাড়ি নামক এলাকার একটি বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।
আজ (১২ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মোঃআসাদুজ্জামান। অপারেশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন হিলসাইট ’।
তিনি জানান, সাড়ে চার ঘণ্টার অভিযানে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের নতুন সংগঠনের প্রধানসহ ১০ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। যাদের নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযানে তিন কেজি বিস্ফোরক, হাই এক্সক্লোসিভ ৫০টি ডেটোনেটর, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ সামগ্রী ও বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আটকরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিণ নলতা গ্রামের শরীফুল ইসলাম (৪০), কিশোরগঞ্জের ইটনার কানলা এলাকার হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রসুলপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম (২২), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার মাইজবাড়ী গ্রামের রাফিউল ইসলাম (২২), পাবনার আটঘরিয়া থানার শ্রীপুর গ্রামের শাপলা বেগম (২২), নাটোর সদরের চাঁদপুর গ্রামের মাইশা ইসলাম (২০), বগুড়ার শরিয়াকান্দি থানার নিজবলাই গ্রামের মোছাঃ সানজিদা খাতুন (১৮), সাতক্ষীরার তালা থানার দক্ষিণ নলতা গ্রামের আমিনা বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে মোছাঃ হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০)।
এ ছাড়া ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের বয়স ১২ মাস, ১৮ মাস ও ছয় বছর।
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে বাইশালী বাড়ি নামক এলাকার একটি টিলার উপর নতুন স্থাপিত বাড়িটি ঘিরে রাখা হয় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ।
তিনি বলেন, এ অভিযান পরিচালনা করতে ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল এসেছে এবং তাদের সাহায্য করতে মৌলভীবাজার জেলা ও কুলাউড়া থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছিল।
পূর্ব টাট্টিউলি বাজারের চা দোকানদার শফিক মিয়া জানান, ওই বাড়ির বাসিন্দারা প্রায় দুই মাস আগে এখানে এসে নতুন বাড়ি করেছে। তার দোকানে এসে অল্প বয়সের দুইজন পুরুষ মানুষ নিয়মিত চা খেতেন।
“তারা বলেছিল, তাদের বাড়ি বগুড়ায়, নদী ভাঙনে তাদের বাড়ি চলে গেছে, তাই এখানে এসে বসতি করেছে। আরও পরিবার আসবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।