কুষ্টিয়ায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় খুলনার ফুলতলা থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন কুমার রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
খুলনার পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান জানান, এএসআই সৌমেনকে রোববার রাতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খুলনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া খুলনা রেঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফুলতলা থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে রোল কলের সময় এএসআই সৌমেন ফুলতলা থানায় উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছুটি না নিয়ে এবং থানার কাউকে কিছু না জানিয়ে রোববার ভোরে কুষ্টিয়ায় চলে যান। গত বছর ২১ ডিসেম্বরে তিনি এই থানায় যোগদান করেছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা সদরের আসবা গ্রামে।
রোববার সকালে কুষ্টিয়ার কাস্টমস মোড় এলাকায় স্ত্রী আসমা খাতুন, ছেলে রবিন ও স্ত্রীর ‘কথিত প্রেমিক’ শাকিল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত এএসআই সৌমেন রায়। এ হত্যাকাণ্ডে সৌমেন সরকারি অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করেছে বলেও নিশ্চিত করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশকিছু তথ্য দিয়েছে। পুলিশ সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছে।
জেলা পুলিশের সিনিয়র ক’জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রীর ‘পরকীয়ার’জের ধরে সৌমেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন।স্পর্শকাতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে খুলনার ফুলতলা থানায় সৌমেনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সূত্রটি জানিয়েছে, ওয়ারেন্ট জারির কথা বলে সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানা থেকে সরকারি অস্ত্র ও গুলি নিয়ে এসেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।