জুমবাংলা ডেস্ক: কুড়িগ্রামে বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতুগুলো মেরামত না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরে ফেরা মানুষ। খবর ইউএনবি’র।
প্রায় প্রতিটি সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ ও বড় বড় গর্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতুও। সড়কগুলো পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সড়ক ও সেতুগুলোর দুরাবস্থার কারণে যানবাহন পারাপার, মালামাল পরিবহন ও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসে ভয়াবহ বন্যায় কুড়িগ্রামের ৫৭টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। এতে প্রায় ২ লাখ পরিবারের ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বন্যায় ৬৪ হাজার মানুষ ১৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ দিন ধরে অবস্থান গ্রহণ করে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায়।
গ্রামীণ সড়ক ও সেতুগুলোর বেহাল দশার কারণে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করছে। এছাড়াও মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কে একমাস ধরে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই অবস্থা দেখা দেয় রৌমারী-ঢাকা ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সাথে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর ও মাদারগঞ্জ সড়কে।
বন্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৮৬ কিলোমিটার ও এলজিইডি’র ১০৩ কিলোমিটারসহ মোট ১৮৯ কিলোমিটার কাঁচা ও পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও সড়ক ও জনপথ,এলজিইডি ও ত্রাণ বিভাগের প্রায় ৫৫টি ব্রিজ-কার্লভার্ট ধসে পরে। সেইসাথে ৭টি স্কুল ও ১টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রায় দেড়মাস ধরে বেহাল সড়কগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে সেতু সড়কগুলো সংস্কারে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।