কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের মানুষের আশা ও আকাঙার প্রতীক কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পুলিশ সুপার আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলামসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন স্থানের সুযোগ, সুবিধা, প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এতে বেশিভার ভাগ মানুষের কথায় দাসের হাট, টগরাই হাট, নালিয়ার দোলার নাম উঠে আসে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, গত ৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর পাঁচবারের বেশি সময় কুড়িগ্রামে এসেছি। সকলের সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও কথা বলার চেষ্টা করেছি। আজ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় সকলের সাথে একটি সুন্দর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এজন্য আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা প্রত্যেকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা কোথায় করলে ভালো হবে সে ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সকলের কথায় দাসের হাট, টগরাই হাট, নালিয়ার দোলাসহ বেশ কয়েকটি জায়গার নাম উঠে এসেছে। এখানে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় আছেন আশাকরছি তারা দ্রুত একটি সিন্ধান্ত আমাদের জানাতে পারবেন। যত দ্রুত আমরা সিন্ধান্ত নিতে পারবো তত দ্রুতই আমরা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করতে পারবো। আমি আর একটি বিষয়ে বলতে চাই, যেখানেই হোক যেভাবে হোক আমরা আগামী বছর থেকে একটি ফ্যাকাল্টি হলেও শিক্ষার্থী ভর্তি ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন বলেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। কুড়িগ্রামের উন্নয়নের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাওয়া হলে তিনি কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে যে জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করলে ভালো হবে সেই স্থানের সাম্ভাবতা যাচাই করে সেখানে স্থানের কথা জানান। পাশাপাশি স্থায়ী ভিত্তিতে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বলেন, আমরা জায়গা নির্বাচন নিয়ে আর কালক্ষেপণ করতে চাই না। আমি চাই সকলেই সম্মিলিতভাবে জায়গা নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করবেন। যত দ্রুত সম্ভব আমরা জায়গা নির্বাচন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করতে চাই। নান্দনিক এবং মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেন বিশ্বদরবারে এগিয়ে যেতে পারে সকলের কাছে আমার সেই প্রত্যাশা রইলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।