কুয়েতে আব্দুল বারেক নামে এক বাংলাদেশীকে জাল ভিসা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তিন বছরের জেল ও তিন হাজার দিনার জরিমানা করেছেন দেশটির আদালত। এছাড়া অপর এক মামলায় ৩ বছরের জেল দিয়েছেন কুয়েতের ক্রিমিনাল কোর্ট।
প্রতারক বারেক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাতঘুরিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। কুয়েত সরকারের দায়েরকৃত বিচারকার্যে ২টি মামলার রায় হয়েছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। মামলা নং ১০৮২৫৫৩১২৮, দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা নং ১৫১৯৬৪৪৩৪। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ক্রিমিনাল কেস নং ০০০৫৭৫ এবং কোর্ট কেস নং ০০১২১৩।
জানা গেছে, বারেক দীর্ঘদিন কুয়েতে থাকায় বিভিন্ন মহলের মানুষের সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে উঠে। সে একাধিক কোম্পানির নামে জাল ও ভুয়া ভিসা ৭-৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতো। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিরীহ শতাধিক লোকজন নিয়ে আসারও অভিযোগ আসে। তার কাছ থেকে ভিসা নিয়ে কুয়েতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছে অনেকে।
প্রবাসীরা অভিযোগ করেন, কুয়েতে আসার পর কাজের কন্ট্রাক নেই। কোম্পানিতে ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করে না। বছর শেষ হয়ে গেলেও শ্রমিকদের ইকামা লাগে না। নানা ধরনের ভোগান্তিতে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পুলিশি অভিযানে ধরা পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে দেশে ফিরে গেছে অনেক শ্রমিক।
আটক হওয়া শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে জাল ও ভুয়া ভিসার ব্যবসার সাথে জড়িত আব্দুল বারেকের নাম। কুয়েতের বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ তদন্ত শেষে আব্দুল বারেকের দুটি মামলায় এই রায় প্রদান করেন।
কুয়েত প্রবাসীরা তার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তার কাছ থেকে জাল ভিসা নিয়ে এখানে অনেক শ্রমিক ইকামা পায়নি। কাজ নেই, মানবেতর জীবন যাপন করে অনেকেই ধরা পড়ে দেশে চলে গেছে। এখন তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।