বলিউডে নিজের আলাদা জায়গা করে নেওয়া কৃতি স্যানন শুধু রূপে নয়, গুণেও অনন্য। মিমি, বরেলি কি বরফি, আদিপুরুষ এর মতো হিট সিনেমার নায়িকা হয়েও কৃতি বাস্তব জীবনে একেবারে ভিন্ন এক মানুষ। এই প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরছি কৃতি স্যাননের জীবনের এমন কিছু অজানা তথ্য যা আজও অনেকের অজানা।
কৃতি স্যাননের কিছু অজানা তথ্য কী কী?
১৯৯০ সালের ২৭ জুলাই দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করা কৃতি স্যানন পড়াশোনাতেও ছিলেন মেধাবী। তিনি জয়পী ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, নয়ডা থেকে ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক সম্পন্ন করেন। তবে অভিনয় ছিল না তাঁর প্রাথমিক পরিকল্পনায়। এখানে আমরা জানবো এমনই কিছু অবাক করা তথ্য—
কৃতি স্যানন একজন প্রশিক্ষিত কথক নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলায় কথক শিখেছিলেন।
অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল না তার। MBA করতে চেয়েছিলেন, তবে হঠাৎ করেই মডেলিংয়ে ঢুকে পড়েন।
তাঁর অভিনয় জীবনের সূচনা হয় তেলেগু সিনেমা দিয়ে। 1: Nenokkadine (২০১৪) ছিল তার প্রথম ছবি।
‘হিরোপন্তি’ ছবিতে নিজের স্টান্ট নিজেই করেন। সাহস ও আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ কৃতি এখানে নিজেই স্টান্ট করেন।
তিনি ব্যবসায়ীও। ২০২৩ সালে নিজের স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড Hyphen শুরু করেন।
এই তথ্যগুলো প্রমাণ করে, বলিউডে তাঁর পথচলা ছিল কঠোর পরিশ্রম ও অনিশ্চিত মোড়ে ভরা।
কৃতি স্যানন কেন বলিউডে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন?
যেখানে বলিউডে অনেকেই কেবল গ্ল্যামারের ওপর নির্ভর করেন, কৃতি স্যানন সেখানে নিজের বুদ্ধিমত্তা, শৃঙ্খলা ও নম্রতার জন্য পরিচিত। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা কৃতি নিজের শিকড় ভুলে যাননি। বাবা একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং মা একজন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক—এই পারিবারিক শিক্ষার জোরে কৃতি গড়ে তুলেছেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
‘মিমি’ সিনেমার জন্য তিনি ২০২৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁর অভিনয় জীবনের এক বিশাল স্বীকৃতি।
কৃতি স্যাননের শিক্ষাগত পটভূমি তাঁর ক্যারিয়ারে কীভাবে সাহায্য করেছে?
বি.টেক করার ফলে কৃতি পেয়েছেন সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও চাপের মধ্যে কাজ করার মানসিকতা। তিনি বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং আমাকে গঠনমূলক চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার গুরুত্ব শিখিয়েছে,” যা তাঁর স্ক্রিপ্ট নির্বাচন ও পেশাগত সিদ্ধান্তে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
কৃতি স্যাননের পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন
কৃতি তাঁর পরিবারের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ। তাঁর ছোট বোন নূপূর স্যানন একজন গায়িকা ও অভিনেত্রী। বোনেদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ মধুর। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও কৃতি নিয়মিত দিল্লি যান পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে।
কৃতি স্যাননের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বর্তমানে কৃতি শুধুমাত্র অভিনেত্রী নন, উদ্যোক্তা ও প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা Blue Butterfly Films শুরু করেছেন। আগামীতে তাঁর ছবি The Crew এবং শাহিদ কাপুরের সঙ্গে একটি নতুন ছবি মুক্তি পাবে।
রূপে, গুণে, বুদ্ধিতে ও ব্যবসায়িক দক্ষতায় কৃতি স্যানন সত্যিই এক অনন্য প্রতিভা। এই অজানা তথ্যগুলোই প্রমাণ করে, গ্ল্যামারের আড়ালে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় মানসিকতা।
তথ্য আপনার জন্য:
কৃতি স্যাননের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
তিনি ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেছেন জয়পী ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে।
কৃতি স্যাননের প্রথম ছবি কোনটি?
তাঁর প্রথম ছবি ছিল তেলেগু সিনেমা 1: Nenokkadine।
কৃতি স্যানন কি নৃত্যশিল্পী?
হ্যাঁ, তিনি কথক নৃত্যে প্রশিক্ষিত।
কৃতি স্যাননের কোন ব্যবসা আছে?
হ্যাঁ, তিনি Hyphen নামক স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি কোনও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কি?
হ্যাঁ, ২০২৩ সালে মিমি ছবির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
কৃতি স্যাননকে অন্যদের থেকে আলাদা করে কী?
তাঁর শিক্ষাগত পটভূমি, পেশাগত শৃঙ্খলা ও বিচক্ষণ পছন্দই তাঁকে আলাদা করে তোলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।