জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী তিন দশকের মধ্যে গ্রিন এনার্জি বা দূষণমুক্ত জ্বালানি খাতে ১০০ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম শ্রোডার্স তহবিল ব্যবস্থাপকের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঘিরে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের উন্মাদনা চলছে। তবে শ্রোডার্সের ফান্ড ম্যানেজার মার্ক লেসি সামনের দশকগুলোতে দূষণমুক্ত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেই বিনিয়োগের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন।
লেসি বলেন, ‘জ্বালানির জগতে যে রূপান্তর ঘটছে তাতে আগামী বছরগুলোতে প্রতিবছর খুব সহজেই দূষণমুক্ত জ্বালানি খাতে ২ হাজার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চাহিদা তৈরি হবে, যা প্রচলিত তেল ও গ্যাসনির্ভর জীবাশ্ম নির্ভর জ্বালানিতে হওয়া বিনিয়োগের বাইরের হিসাব।’
উত্তরোত্তর এই বিনিয়োগের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে ২০২০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে তার পরিমাণ ১ লাখ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে জানান মার্ক লেসি।
তবে শুধু এই বিশেষজ্ঞই নন, সামনের দশকগুলোতে বিশ্বের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের দাপটের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিচ্ছে অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ও সংস্থাও।
গত মাসে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রথমবারের মতো সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ছাড়িয়ে যেতে চলেছে তেল উৎপাদন খাতে হওয়া বিনিয়োগকে।
২০২৩ সালে সৌরবিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন হওয়া বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আইইএ। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল বলেন, বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ হওয়া প্রতি এক ডলারের বিপরীতে নবায়নযোগ্য ও দূষণমুক্ত জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে ১ দশমিক ৭ ডলার।
সব মিলিয়ে চলতি বছর ব্যাটারি স্টোরেজ, বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের দূষণমুক্ত জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ ১ হাজার ৭০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আইইএ।
এ বছর নবায়নযোগ্য ও জীবাশ্ম জ্বালানিসহ সব ধরনের জ্বালানি খাত মিলিয়ে ২ হাজার ৮০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।