কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ কি আদৌ সম্ভব?

বিরল সূর্যগ্রহণ

প্রথমে একটু অবাক লাগে। কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ আবার কীভাবে সম্ভব! পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ এলে তবেই না সূর্যগ্রহণ, তাই না? তাহলে এখানে কৃত্রিম কিছু কীভাবে সম্ভব? কিন্তু কল্পনা করুন, আমরা একটা কৃত্রিম চাঁদ আকাশে ছাড়লাম। এটা মাঝেমধ্যেই সূর্যকে ঢেকে ফেলবে। তাহলে? সূর্যগ্রহণে সমস্যা কোথায়?

বিরল সূর্যগ্রহণ

হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু এতে লাভ? কেন এত খরচ করে কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ দরকার? হয়তো অনেকে বলবেন, গবেষণা করা, সূর্য সম্পর্কে আরও জানাবোঝার জন্য তো লাগতেই পারে এ রকম সূর্যগ্রহণ।

তবে এর চেয়েও বড় একটি প্রয়োজনের কথা আমরা ভাবতে পারি। গত ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে সূর্যগ্রহণের সময় কয়েক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। সূর্য ঢেকে যাওয়ায় সৌরশক্তি পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারেনি। সে জন্যই তাপমাত্রা কমে যায়।

১৯৯১ সালে মাউন্টেইন পিনাটুবোর অগ্ন্যুত্পাতের সময় কয়েক দিন সূর্য ঢাকা পড়ে ছিল। তখনো তাপমাত্রা কমে যেতে দেখা গেছে। সেটা তো এক ব্যাপার। কিন্তু সূর্য ঢেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর চিন্তাটা খুব কাজের নয়। বরং বিশ্বের সব দেশ মিলে কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা বেশি কার্যকর। সেদিকেই জোর দিতে হবে।