বাংলাদেশের কৃষি খাত আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। এই দেশের মাটিতে কৃষকরা প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন নিজের জীবিকা নির্বাহ এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক আয়োজিত একটি ব্যতিক্রমধর্মী কৃষি ঋণ বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কৃষকদের জন্য নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে।
কৃষকের উন্নয়নে প্রাইম ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংক এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরাসরি ১৫০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে এবং তাঁদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ সেশনও আয়োজন করেছে। এতে মূলত বর্তমান ঋণগ্রহীতা এবং সম্ভাব্য গ্রাহকরা অংশগ্রহণ করেন। কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
Table of Contents
এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির ব্যবস্থা করে তাঁদের ফসল উৎপাদনে সহায়তা প্রদান এবং বিশেষ করে ভুট্টা চাষে দক্ষতা বৃদ্ধি। প্রশিক্ষণের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (BWMRI)-এর সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান শাহ্।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম এবং প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (কনজ্যুমার ব্যাংকিং) মো. নাজিম এ. চৌধুরী ছাড়াও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন
বাংলাদেশে অধিকাংশ কৃষক এখনও ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে রয়েছেন। প্রাইম ব্যাংক এই ব্যবধান দূর করতে চাইছে এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে। এটি সরকারের গ্রামীণ উন্নয়ন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং কৃষকদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আত্মনির্ভরশীলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া প্রাইম ব্যাংকের হেড অব এগ্রি বিজনেস শাহানা পারভীন এবং হেড অব নর্থ রিজিয়ন মো. আবদুল হালিম তাঁদের বক্তব্যে জানান, ভবিষ্যতে আরও অনেক অঞ্চলে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এখানে কৃষি নিউজ বিভাগের আরও খবর পড়ুন এবং অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুসরণ করুন নতুন তথ্যের জন্য।
কমিউনিটি-ভিত্তিক টেকসই কৃষি উন্নয়নের ভবিষ্যৎ
এই ধরণের কমিউনিটি-ভিত্তিক উদ্যোগ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এমন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তাঁদের নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যা দীর্ঘমেয়াদে ফসল উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা
- অধিক সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছানো
- প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ
- আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকদের পরিচয় করানো
এই ধরনের উদ্যোগ কৃষক এবং দেশের অর্থনীতির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
কৃষকদের জন্য এমন কার্যক্রম তাঁদের জীবিকা উন্নয়নে এবং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রাইম ব্যাংকের এমন উদ্যোগ যেন দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে – এই প্রত্যাশা সবার।
FAQs: কৃষক ও কৃষি ঋণ
১. কৃষকরা কীভাবে সহজে ব্যাংক ঋণ পেতে পারেন?
সরকার অনুমোদিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করে সহজে ঋণ নেওয়া যায়। এখন অনেক ব্যাংক ডিজিটালভাবে আবেদন নেওয়াও শুরু করেছে।
২. কৃষকদের জন্য কোন ধরনের প্রশিক্ষণ বেশি উপকারী?
ভূমি ব্যবস্থাপনা, আধুনিক চাষাবাদ, ফসল রক্ষার প্রযুক্তি এবং মার্কেটিং কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ কৃষকদের জন্য অধিক কার্যকর।
৩. প্রাইম ব্যাংকের কৃষি ঋণ কর্মসূচি কাদের জন্য প্রযোজ্য?
এই ঋণ কর্মসূচি মূলত প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষকদের লক্ষ্য করে তৈরি হয়েছে, যারা তাদের কৃষি কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা চান।
৪. কৃষি ঋণ পেলে একজন কৃষক কী ধরনের সুযোগ পান?
ঋণ পেলে কৃষকরা ভালো বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন এবং উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
৫. কৃষকদের জন্য ব্যাংকের সেবা কিভাবে আরও সহজ করা যায়?
মোবাইল ব্যাংকিং, ফিল্ড অফিসারদের মাধ্যমে সরাসরি সেবা এবং স্থানীয় ভাষায় তথ্য সরবরাহ করে এই প্রক্রিয়া সহজ করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।