জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বছরের পর বছর ধরে দিগন্ত বিস্তৃত জমি ছিলো পতিত। ওপাড়ে ভারত। এপাড়ে বাংলাদেশ। এতে গরু ছাগল চড়াতো কৃষকরা। গৃহপালিত পশুর চারণভূমিটি এখন কৃষকদের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক হয়ে উঠেছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী সর্তকদৃষ্টির মাঝে কৃষকদের হাতের ছোঁয়ায় একশত দশ বিঘা পতিত জমিতে হাসছে সরিষা।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তবর্তী পাহাড়পুর বেলবাড়ি এলাকার এই পতিত জমি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম । এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমানু গবেষণা ইন্সটিটিউট কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আশিকুর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.ফারহানা ইয়াসমিন।
কৃষক ওমর ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল হালিম বলেন, গত বছর খরিফ-২ মৌসুমে রোপা আমন চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি মাঠের জমিগুলো পতিত থাকবে শুনে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সরিষা চাষের পরামর্শ দেয়। গতবছর ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হলেও এবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছি ১১০ হেক্টর। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘাপ্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
তাছাড়া স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গেল আউশ মৌসুমে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ৭০ বিঘা জমিতে আউশ চাষ করেন তারা। আমন মৌসুমেও প্রচলিত ব্রি ধান ৪৯ ও স্বর্ণমসুরি ধানের বিপরীতে স্বল্পজীবনকালীন ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান ৭৫ ও বিনাধান-১৭ ধানের আবাদ করা হয়। আর বর্তমান সরিষা মৌসুমে নতুনজাত হিসাবে বিনাসরিষা-৯, বিনাসরিষা-৪ ও বারি সরিষা-১৮ এর বীজ বিতরণ করে কৃষিবিভাগ।
পরিদর্শনকালে বিনার মহাপরিচারক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম সরিষা চাষী কৃষকদের সাথে মতবিনিময়করেন ও সরিষা চাষের সম্ভাবনার কথা কৃষকদের সামনে তুলে ধরেন। তাছাড়া তিনি সরিষা চাষের কিছু ব্যবস্থাপনা, বীজ সংগ্রহ ও বীজের সংরক্ষণ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বিনা’রবিজ্ঞানীবৃন্দের পতিত জমিতে সরিষা জমি পরিদর্শন কৃষকদের জন্য অনেক আনন্দ ও উৎসাহের। পাহাড়পুরের বিস্তীর্ণ জমিতে বোরো-পতিত-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের পরিবর্তে সরিষা-তিল-রোপা আউশ-রোপা আমন ও সরিষা-আউশ-রোপা আমনশস্য বিন্যাস বাস্তবায়ন হয়েছে। আগামী মৌসুমগুলোতে নতুন নতুন জাত নিয়ে তিল, আউশ ও রোপা আমন আবাদে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন এবং পাশাপাশি দেশেরও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।