Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কৃষকের বন্ধু প্যাঁচা এবং দাঁড়াশ সাপ
    সম্পাদকীয়

    কৃষকের বন্ধু প্যাঁচা এবং দাঁড়াশ সাপ

    September 4, 20223 Mins Read

    মুহাম্মদ শফিকুর রহমান : প্যাঁচা একটা পাখি, দিনের বেলা যার দেখাই মেলে না। সে আবার কী করে কৃষকের বন্ধু হয়! অন্যদিকে সাপ তো খুব ভয়ংকর প্রাণী। কামড়ালে রক্ষা নেই। তার আবার কৃষকের বন্ধু হওয়া!

    প্যাঁচা এবং দাঁড়াশ সাপ খুব নিরীহ প্রাণী। শান্ত। প্যাঁচা কাউকে কামড়ে দিয়েছে, প্যাঁচার কামড়ে কারো মৃত্যু হয়েছে—এমন নজির নেই। মানুষ দেখলে প্যাঁচা দৌড়ে পালায়। দাঁড়াশ সাপ হলো নির্বিষ। মানে এই সাপের বিষ নেই। দংশন করলেও কিছু হবে না। ইদুর খেয়ে এরা কৃষকের ফসল রক্ষা করে। এই প্রাণী দুটি সম্পর্কে যে সব কথা প্রচলিত আছে, তার অধিকাংশই ভুল। ভুল জেনে মানুষ এই প্রাণীগুলো মেরে ফেলে। অথচ এরা প্রকৃতি ও পরিবেশের কত বড় উপকার করে, তা অনেকেরই জানা নেই।

    প্যাঁচার পছন্দের খাবার ইঁদুর। প্যাঁচার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভুল প্রচারণা—বলা হয় এরা অশুভ পাখি। অত্যন্ত নিরীহ এই পাখিটিকে অশুভ ভাবার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। পৃথিবীজুড়ে ১৭০ প্রজাতির প্যাঁচা দেখা গেলেও বাংলাদেশে রয়েছে ১৬ প্রজাতির প্যাঁচা। এর মধ্যে হুতুম, লক্ষ্মী, নিমখোর, ভুতুম, রূপালি, পিশাচ, যমদূত, গুহা, হিমহিম, বানরমুখো ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিম প্যাঁচা। এদের দৈর্ঘ্য ২৪ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১৭০ গ্রাম। আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বর্তমানে এরা অনেকটাই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দেখতে আর্কষণীয় হলো লক্ষ্মী প্যাঁচা। এরা মাথা ঘুরিয়ে প্রায় পুরোপুরি পেছনের দিকে তাকাতে পারে।

    প্যাঁচার ডাক শুনে অনেকেই একে অশুভ প্রতীক বলে মনে করেন। কোনো কোনো অঞ্চলে প্যাঁচা ডাকলে ঘরে ওঠার সিঁড়িতে জল ঢেলে দেওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস, এতে সব ধরনের অকল্যাণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে দা, খুন্তি আগুনে গরম করা হয় প্যাঁচার গায়ে ছ্যাকা দেওয়ার জন্য।

    প্যাঁচা ছোট ইঁদুর, শুঁয়াপোকা, ছোট পাখি, টিকটিকি, ঢোঁড়া সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে। প্যাঁচা দিনের আলো সহ্য করতে পারে না। তাই বড় বড় গাছের কোটরে, বন-জঙ্গল, দালানের ফাঁকফোকর কিংবা গাছগাছালির ঘনপাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে। নির্বিচারে বৃক্ষ উজাড়, ফসল আবাদ করতে জমিতে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, খাবারের অভাব, ‘অশুভ পাখি’ বলে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন কারণে প্রকৃতি থেকে প্যাঁচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

    রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় শুভ ও সুন্দরের প্রতীকরূপে বারবার এসেছে বাংলার প্যাঁচা। প্যাঁচা কৃষকের অনেক উপকার করে। প্যাঁচার প্রধান খাবার ইঁদুর। ইঁদুর রাতে বের হয়, প্যাঁচাও রাতে বের হয়। যেখানে ইঁদুরের আনাগোনা সেখানে প্যাঁচার আনাগোনা। খেতের ভেতর প্যাঁচা বসার উপযোগী ডাল, বাঁশ ইত্যাদি পুঁঁতে রাখলে এক রাতেই ১২-১৩টি ইঁদুর সাবাড় করতে পারে। একটি প্যাঁচা প্রতিরাতে কমপক্ষে একটি ইঁদুর খায়। একটি ইঁদুর কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার শস্য ধ্বংস করে। তাহলে একটি প্যাঁচা প্রতিবছর ১০ হাজার – ৩৬৫= ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা রক্ষা করে থাকে। আর প্যাঁচাটি যদি কমপক্ষে ১০ বছর বাঁচে তাহলে কত টাকা রক্ষা করে, ভাবা যায়?

    দাঁড়াশ এমনই এক সাপ, হাত দিয়ে ধরলেও এরা বেশি নড়াচড়া করে না। রেগে উঠে ছোবল মারার অভ্যাস এদের নেই। এদের গায়ের রং হালকা বাদামি, হলুদ বাদামি কিংবা জলপাই বাদামিও হয়ে থাকে। কৃষকের যম ইঁদুর। আর দাঁড়াশ সাপের প্রধান খাবারই হলো ইঁদুর। এরা ফসলের খেতে থাকতে পছন্দ করে। এই সাপ যে জমিতে থাকে তার আশেপাশে প্রায় ৩ একর এলাকাজুড়ে তার বিচরণ থাকে। এরা খুঁজে খুঁজে ইঁদুর শিকার করে। নীরবে ইঁদুর খেয়ে ফসল তো রক্ষা করেই, উপরন্তু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তার অবদান বলার মতো। দাঁড়াশ সাপের লেজে কাটা আছে, বিষ থাকার মতো প্রচলিত এই কথাও ঠিক নয়।

    কৃষকের গাভীর দুধ খায় দাঁড়াস সাপ। এমনটা অনেকেই মনে করেন। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, দাঁড়াশ কেন পৃথিবীর কোনো সাপই দুধ চুষে খেতে পারে না। গরুর ওলানে এক ধরনের পোকার কামড়ে দাগ হয়। সাপের পরিপাকতন্ত্র দুধ হজম করতে পারে না। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা দাঁড়াশ সাপের প্রজনন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি বছর ইঁদুর যে পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট করে তার আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। দাঁড়াশ সাপ রক্ষা করতে পারলে বছরে ১১ হাজার কোটি টাকার ফসলের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ যে টাকা ইঁদুর দূর করতে খরচ করে তাও রক্ষা করা সম্ভব।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    এবং কৃষকের দাঁড়াশ প্যাঁচা বন্ধু সম্পাদকীয় সাপ
    Related Posts
    What Is Artificial Intelligence?

    What Is Artificial Intelligence? Details of Modern AI

    February 11, 2025

    বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন অপরিহার্য

    October 16, 2024

    পাহাড়ে শান্তি চাইলে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ফর্মুলাতেই যেতে হবে

    October 7, 2024
    সর্বশেষ সংবাদ
    মারিয়া মিম
    নোটিশ পাঠানো আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন মারিয়া মিম
    ওয়েব সিরিজ
    উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজ আপনার রাতের ঘুম উড়িয়ে দেবে, একা দেখুন!
    রোমান্স
    বউয়ের সাথে জমিয়ে রোমান্স করতে খান এই ৫টি খাবার
    joya
    সুন্দরী বিচার করবেন জয়া-মেহজাবীন-রাফী
    ওয়েব সিরিজ
    রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
    আঙুর
    সবুজ, লাল না কালো আঙুর-কোনটি বেশি পুষ্টিকর
    Jebunnesa Afroz
    বরিশালের সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ ঢাকায় গ্রেফতার
    Top-50-Indian-Web-Series
    সেরা ৫০টি ভারতীয় ওয়েব সিরিজ, না দেখলে মিস করবেন!
    পায়ের দুর্গন্ধ
    পায়ের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে যা করবেন
    সাত কলেজ
    রবিবার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে ফের আন্দোলন : সাত কলেজ
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.