আধুনিক কৃষিতে, ড্রোন প্রযুক্তি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে। জমির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, ফসলের উপর সার ও কীটনাশক ছিটিয়ে দেওয়া, এবং জমি জরিপ করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি কৃষকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করতে, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে এবং আরও টেকসই কৃষি পদ্ধতি গড়ে তুলতে সাহায্য করছে।
ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু সুবিধা:
- জমির দ্রুত ও সহজ পর্যবেক্ষণ: ড্রোনগুলি জমির বিস্তৃত এলাকা দ্রুত ও সহজে উড়ে যেতে পারে এবং উচ্চ-মানের ছবি ও ভিডিও তুলতে পারে। এই তথ্যগুলি কৃষকদের ফসলের স্বাস্থ্য, পানি চাহিদা, পোকামাকড় ও রোগের উপস্থিতি, এবং জমির উর্বরতা পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।
- সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর সার ও কীটনাশক প্রয়োগ: ড্রোনগুলি সার ও কীটনাশক সুনির্দিষ্ট এলাকায় ছিটিয়ে দিতে পারে, যা অপচয় কমায় এবং পরিবেশের উপর প্রভাব হ্রাস করে।
- জমি জরিপ ও মানচিত্র তৈরি: ড্রোনগুলি জমির উচ্চ-মানের 3D মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা কৃষকদের জমির পরিকল্পনা ব্যবস্থা তৈরি এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- জমির নিরাপত্তা: ড্রোনগুলি অবৈধভাবে জমি দখল, চুরি এবং ফসলের ক্ষতির বিরুদ্ধে নজরদারি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু চ্যালেঞ্জ:
- প্রাথমিক খরচ: ড্রোন এবং এর সাথে সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলির প্রাথমিক খরচ কিছু কৃষকের জন্য বেশি হতে পারে।
- কৌশলগত জ্ঞানের প্রয়োজন: ড্রোনগুলি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে এবং ডেটা বিশ্লেষণ করতে কিছু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
- নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ: কিছু দেশে ড্রোন ব্যবহারের জন্য বিশেষ নিয়মকানুন রয়েছে যা মেনে চলতে হবে।
কৃষিতে ড্রোন প্রযুক্তি একটি উদ্ভাবনী হাতিয়ার যা কৃষকদের আরও দক্ষ, টেকসই এবং লাভজনকভাবে তাদের ফসল উৎপাদন করতে সাহায্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির খরচ কমে যাওয়ার সাথে সাথে এবং আরও বেশি কৃষক ড্রোন ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারলে, কৃষিক্ষেত্রে এর ব্যবহার আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।