কৃষ্ণগহ্বর তাই আজও এক রহস্য। রজার পেনরোজের ধারণা, কৃষ্ণগহ্বরগুলো ধীরে ধীরে গিলে নেয় মহাবিশ্বের সব ভর। আর মহাবিশ্বজুড়ে বেড়ে চলে বিশৃঙ্খলা। এই বিশৃঙ্খলা সবচেয়ে বেশি হয় কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে। হকিংয়ের একটা ধারণা ছিল, একসময় উবে যাবে মহাবিশ্বের সব কৃষ্ণগহ্বর। হারিয়ে যাবে সব ভর। এভাবে মহাবিশ্বের সব ভর যদি হারিয়ে যায়, মহাবিশ্ব নিজেই ভুলে যাবে সে কে।
তখন আবার জন্ম নেবে পরবর্তী নতুন মহাবিশ্ব। এই ধারণাটিকে কসমোলজিস্ট, মানে সৃষ্টিতত্ত্ববিদেরা মেনে নেননি। কিন্তু রজার পেনরোজের ধারণা বলে কথা! আর কেউ যখন কৃষ্ণগহ্বরকে মেনে নেয়নি, তিনি তখন ওর পেছনে ছুটেছেন। তাঁর ধারণাকে তা-ই চট করে উড়িয়ে দেওয়াও যায় না। তবে এটি প্রমাণিত নয়। তাই কেউ মানুক বা না মানুক, এটি এখনো কোনো তত্ত্ব না। শুধুই ধারণা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্রে যে সিঙ্গুলারিটি বা অনন্যতা, একই রকম অনন্যতা ছিল বিগ ব্যাংয়ের সময়েও। একটি বিন্দুতে ঘন হয়ে ছিল মহাবিশ্বের সব ভর-শক্তি-স্থান-কাল—সব। কী হয়েছিল তখন? এ রহস্য সমাধান করতে হলে লাগবে সবকিছুর তত্ত্ব। দ্য থিওরি অব এভরিথিং।
সেই তত্ত্ব মেলার আগপর্যন্ত কল্পনা আর তাত্ত্বিক অনুমানই আমাদের হাতিয়ার। কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে কী হচ্ছে, এ নিয়ে কল্পনা করে শিউরে ওঠা। অন্য কোনো জগৎ! অসীম সম্ভাবনা। বিজ্ঞানীদের ছুটে চলা সবকিছুর তত্ত্বের সন্ধানে। কিন্তু আসলে কী? ঠিক কী আছে কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে? তার অনেক কিছু এখনো রহস্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।