আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গি এবং প্রথম মোদী সরকারের আমলে বিদেশমন্ত্রকের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিশ্চিন্তে তুলে দিয়েছিলেন তার কাঁধে। ঠিক ততটাই ভরসা করতেন সুষমা স্বরাজকে। কিন্তু সেই ভরসার জায়গাটা আজ আর নেই। সুষমা স্বরাজের ম’রদেহের সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল সামলাতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী।
নীরবে চোখের জল মুছতে দেখা গেল তাকে। সুষমার চলে যাওয়ার খবর এখনও মেনে নিতে পারেনি গোটা দেশ। সেই হতভম্বতা গ্রাস করেছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলকেও। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে সকলেই সুষমার বাড়িতে জড়ো হন। আসেন প্রধানমন্ত্রীও।
এদিকে সুষমাকে দেখার পর তার পরিবারের মানুষদের এবং তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি তার মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে স্বান্তনা দেন। তারপর দেখা হয় সুষমার স্বামী স্বরাজ কৌশলের সঙ্গে। হাতে হাত রেখে এই দুর্যোগে পাশে থাকার বার্তা দেন মোদী।
এরপর সুষমা স্বরাজের ম’রদেহের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর পরেই আবেগ চাপা রাখতে পারেননি মোদী। চোখে জল চলে আসে তাঁর। তবে ক্যামেরার সামনে তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মোদীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য উচ্চপদস্থ নেতারা। প্রত্যেকেই নিজের শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সুষমা স্বরাজকে।
সুষমা স্বরাজের মৃ’ত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী মোদী একের পর এক ট্যুইট করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ভারতের রাজনীতিতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। তার কথায়, অসাধারণ বক্তা এবং সাংসদ ছিলেন সুষমাজি। দলের সকলে তাঁকে সম্মান করতেন। আদর্শ এবং বিজেপির স্বার্থ নিয়ে কখনওই তিনি আপস করেননি। দলের উন্নতিতে তার বড় ভূমিকা ছিল।
গত কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। যার ফলে লোকসভা নির্বাচনে লড়তেও চাননি তিনি। গত মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্য্যানুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়। মঙ্গলবার দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন তিনি।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে সুষমা স্বরাজের সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসা পেয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তান বিরোধী কড়া বার্তা মনে রাখার মত। যখনই কোনও ভারতীয় বিশ্বের কোনও প্রান্তে বিপদে পড়েছেন, তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুষমা। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে আটকে থাকা মুক ও বধির ভারতীয় মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন সুষমা। সূত্র: কলকাতা২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।