বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এ অভিযানে কেউ আটক না হলেও অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের সেই ঘাঁটিটিও দখলে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ জুলাই ২০২৫ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত টানা একমাস বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম রেং ত্লাং এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনীর টহল দল সীমান্তবর্তী জনবসতিহীন এলাকায় বম পার্টির (তথাকথিত কেএনএ) একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি চিহ্নিত করে এবং ব্যাপক তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত কাঠের রাইফেল, স্নাইপার অস্ত্রের সিলিং, মিলিটারি বেল্ট, কার্তুজ বেল্ট, পোচ, ইউনিফর্ম, বুট, কম্বল, ওয়াকিটকি চার্জার, সোলার প্যানেল, রসদ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, সশস্ত্র সংগঠনটির প্রশিক্ষণ মাঠ, ফায়ারিং রেঞ্জ, পরিখা এবং বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনা দখল করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয় আইএসপিআরের বার্তায়।
স্টার্টআপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার উদ্যোগ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রুমায় কেএনএফের অস্তিত্ব প্রথম প্রকাশ্যে আসে। বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে এ সংগঠন গঠন করার কথা বলা হলেও সেখানে বম জনগোষ্ঠীর কিছু লোক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।