ভূমধ্যসাগরে পানির নিচে কেএমথ্রিনেট নামের নিউট্রিনো টেলিস্কোপ স্থাপন করা হয়েছে। নতুন এই টেলিস্কোপটি পানির নিচ থেকে অজ্ঞাত মহাজাগতিক উৎস থেকে আসা উচ্চ-শক্তির নিউট্রিনো শনাক্ত করতে কাজ করবে। প্রচলিত টেলিস্কোপগুলো ভূপৃষ্ঠের ওপরে বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হলেও সাবটমিক কণা নিউট্রিনো শনাক্ত করার জন্য নতুন টেলিস্কোপটি সমুদ্রের নিচে স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নিউট্রিনো সংঘর্ষের সময় উৎপন্ন আলো শনাক্ত করতে সক্ষম কেএমথ্রিনেট টেলিস্কোপ। টেলিস্কোপ বসানোর জন্য ভূমধ্যসাগরের ১ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে শতাধিক শনাক্তকারী অ্যানটেনা বা ডিটেক্টর স্ট্র্যান্ড স্থাপন করা হয়েছে। মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশে কাজ করবে পানির নিচে থাকা এই টেলিস্কোপ।
কেএমথ্রিনেটে দুটি স্বতন্ত্র টেলিস্কোপ রয়েছে, যা কাচের গোলকের সমন্বয়ে ফটোমাল্টিপ্লায়ার টিউব দিয়ে পরিপূর্ণ। এ বিষয়ে ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার ফিজিকসের পদার্থবিদ সিমোন বিয়াগি জানিয়েছেন, টেলিস্কোপ সমুদ্রপৃষ্ঠের কয়েক কিলোমিটার নিচে স্থাপন করা হয়েছে। টেলিস্কোপটির সঙ্গে তারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেন্সরও যুক্ত রয়েছে।
ভূমধ্যসাগরের নিচে টেলিস্কোপটি স্থাপনের সময় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আংশিকভাবে বসানো হলেও টেলিস্কোপটি প্রায় এক মাস ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। এরই মধ্যে কোয়ান্টাম মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব ও নিউট্রিনোর আচরণের তথ্য জানাতে শুরু করেছে টেলিস্কোপটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।