স্পোর্টস ডেস্ক: একবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কাবাডি দল এগিয়ে যায় তো পরক্ষণে রেঞ্জ পুলিশ দল। এভাবে দাঁতে দাঁত চেপে শক্তি আর কৌশলের রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলতে থাকে ঘণ্টাব্যাপী। শেষ পর্যন্ত ২৬-২২ পয়েন্টের ব্যবধানে জয়ের হাসি হাসে জেলা পুলিশ দলের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিকেএসপি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বসেছিল চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্টের ফাইনালের এই আসর।
পুলিশের এই আয়োজনে পাশে ছিল দেশের অন্যতম ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।
ফাইনাল শেষে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেএসআরএমের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ পুলিশ ও কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘কাবাডির দেশ বাংলাদেশ। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি খেলাধুলার প্রতি খুবই আন্তরিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিবিদ হয়েও খেলাধুলাকে অন্তরে ধারণ করেন। সরকার পরিচালনার পাশাপাশি আমরা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য বয়ে আনতে পারি সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। কাবাডি খেলার মতো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য তিনি সচেষ্ট আছেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেএসআরএমের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘কাবাডি খেলা আমাদের জাতীয় খেলা হলেও এটি দিনে দিনে বিলুপ্তের পথে। এমন সময়ে ডিআইজি সাহেব যখন কাবাডি খেলার আয়োজন হাতে নিলেন আর সেটিতে কেএসআরএমকে পাশে চাইলেন তখন সঙ্গে সঙ্গে তা আমরা লুপে নিয়েছি। আমরা চাই এই ঐতিহ্যবাহী খেলা আবারো তার হারানো অতীত ফিরে পাক।’
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, এই আয়োজনের পেছনে জাতীয় খেলা কাবাডিকে পৃষ্টপোষকতা করা যেমন আছে, তেমনি আমাদের উদ্দেশ্যে ছিল কিশোর-তরুণেরা যেন খারাপ কাজ আর মাদক থেকে দূরে থাকেন।
আলোচনা সভা শেষে দুই দলের হাতে কাপ আর পদক তুলে দেন অতিথিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।