একজন নেতা যিনি দৃড় নেতৃত্বের অধিকারী তিনি যদি কোথাও ঊর্ধ্বতন পদে অধিষ্ঠিত হন তাহলে তার মধ্যে অহংকার এবং দাম্ভিকতা কাজ করতে পারে। যারা সত্যিই বড় পদে থেকে কাজ করে তাদের মধ্যে অহংকার এবং দাম্ভিকতা থাকার ঝুঁকি থেকে যায়। প্রত্যেক মুহূর্ত তাকে এই বাস্তব সমস্যা মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়।
মানুষ যত বড় পদে উন্নীত হয় ততই তার ক্ষমতা বাড়তে থাকে। সে তখন চায় লোকেরা তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনবে এবং সব সময় একমত হবে। সে চায় মানুষ তার সাথে কম দ্বিমত পোষণ করুক। আসলে অহংকার থাকলে ক্ষমতা ‘ব্যাধি’ হিসেবে কাজ করতে পারে।
অহংকার এবং দাম্ভিকতা আমাদের দৃষ্টিকোণকে বিকৃত করতে পারে। মূল্যবোধকে নষ্ট করে দেয়। একজন সুনিপুণ নেতার প্রধান দায়িত্ব হবে তার খ্যাতি এবং প্রভাব থেকে যেন অহংকার কাজ না করে। অহংকার যেন আচরণকে কলুষিত না করে।
একজন নেতার মধ্যে অহংকার থাকলে মানুষ এটিকে দুর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করে তাকে ভুল দিকে পরিচালনা করার চেষ্টা করবে। সে যদি নিজেকে অনেক মহান হিসেবে দেখাতে চায় তাহলে অহংকার থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত তার সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং সকল সদস্যদের ক্ষতির কারণ হবে।
অহংকারী নেতারা অন্যের সাফল্যের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সে আরো বেশি অভদ্র এবং স্বার্থপর হয়ে ওঠে। কেউ যদি ভালো কিছু করতে যায় সে তার পথে সমস্যা তৈরি করে। সে কারো ভুল থেকে শিখতে চায় না।
অহংকারী নেতা পক্ষপাতদুষ্ট হয়। কোনটা সঠিক দৃষ্টিকোণ এবং কোনটা ভুল সে তা পার্থক্য করতে পারে না। অহংকার থেকে বের হয়ে আসতে হলে তার মধ্যে নিঃস্বার্থ মনোভাবের প্রতিফলন থাকতে হবে এবং সাহসী হতে হবে। একজন নেতা এই চ্যালেঞ্জ দিতে পারলে সে অহংকার ও দাম্ভিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
আপনার উচিত এমন মানুষের সাথে কাজ করা যারা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে না। আপনাকে আত্মবিশ্বাসী, নম্র এবং কৃতজ্ঞ থাকতে সহায়তা করবে। নিঃস্বার্থ মনোভাবের জন্য অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং বিনয়ী হওয়ার জরুরী।
সোর্সঃ HBR
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।